গর্ত চোখে পড়ার পরে পেরিয়ে গিয়েছে পনেরো দিন। অবশেষে স্থির হল সুকান্ত সেতু মেরামতির দিনক্ষণ। পূর্ত দফতর জানিয়েছে, শনিবার রাত থেকে শুরু হবে কাজ। তবে এক দিনেই কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তারা।
পুলিশ জানায়, মেরামতি চলাকালীন কিছু যানের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শনিবার রাত ন’টা থেকে রবিবার রাত ন’টা পর্যন্ত বাস, লরি, ম্যাটাডোর— এই ধরনের কোনও যান চালানো যাবে না ওই সেতুতে। ওই রুটের বাসগুলি যাদবপুর থানা থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ কানেক্টর দিয়ে কালিকাপুর হয়ে বাইপাস পৌঁছবে। তবে ছোট চার-চাকা, অটো বা দু’চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। ট্রাফিক সূত্রের খবর, এক সঙ্গে যাওয়া ও আসার দু’টি পথ খোলা থাকবে না। এক দিকের পথ দিয়েই কিছুক্ষণ ছাড়া হবে যাওয়ার গাড়ি। ফের সেগুলি আটকে ছাড়া হবে উল্টো মুখের গাড়ি।
সূত্রের খবর, সুকান্ত সেতুর উপরে দীর্ঘ একটি ‘এক্সপ্যানশন জয়েন্ট’-এর উপরের ধাতব পাত উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে গর্ত। সেখানেই মাঝেমধ্যে বসে যাচ্ছে গাড়ির চাকা। যা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সাধারণের। ওই ধাতব পাতটিই ফের নতুন করে লাগানো হবে।
১৯৯২ সালে ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু এই উড়ালপুলের উদ্বোধন করেন। বছর তিনেক আগে অবস্থা ওই সেতুর খুব খারাপ হওয়ায় পূর্ত দফতর সেতুটি পুরোপুরি সারাই করে। কয়েক বছরের মধ্যেই ফের এই অবস্থা কেন? পূর্ত দফতরের সাফাই, উড়ালপুল দিয়ে যানবাহন চলতে চলতে এই ধাতব পাতের উপরে চাপ পড়ে। তা থেকেও অনেক সময়ে এগুলি উঠে যায়। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে এই ধাতব পাত কী করে উঠল, সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।