রেললাইনের ধারে উদ্ধার নবজাতক

দক্ষিণেশ্বরের বালি ব্রিজের পাশ থেকে এ ভাবেই উদ্ধার হয়েছে একটি শিশু। উদ্ধারের পরে ছোটকা রায় ও নমিতা রায় নামের ওই দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে যান। রাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিনে আনেন বেবিফুড। যদিও ওই দম্পতির আট বছরের একটি মেয়ে ও সাড়ে ছ’ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয় যুবকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০১৭ ০৪:১২
Share:

শুশ্রূষা: সদ্যোজাতকে নিয়ে রায় দম্পতি। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

রাতে রেললাইনের ধারে শৌচালয়ে গিয়ে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনে ভয়ে পালিয়ে এসেছিলেন কয়েক জন। ঝুপড়িতে ফিরে সবাইকে ডেকে জানিয়ে ছিলেন, ওই আওয়াজ নির্ঘাত ভূতের! সকলে ভয় পেলেও টর্চ নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন এক দম্পতি। বেশ কিছু ক্ষণ খোঁজার পরে তাঁরা বুঝতে পারলেন, রেললাইনের পাশে প়ড়ে থাকা কাপড়ের লাল রঙের ব্যাগের ভিতর থেকেই কেউ কাঁদছে। সেই ব্যাগ খুলতেই দেখা গেল ভিতরে রয়েছে দিন পনেরোর একটি শিশুপুত্র।

Advertisement

সোমবার রাতে দক্ষিণেশ্বরের বালি ব্রিজের পাশ থেকে এ ভাবেই উদ্ধার হয়েছে একটি শিশু। উদ্ধারের পরে ছোটকা রায় ও নমিতা রায় নামের ওই দম্পতি শিশুটিকে নিয়ে যান। রাতেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিনে আনেন বেবিফুড। যদিও ওই দম্পতির আট বছরের একটি মেয়ে ও সাড়ে ছ’ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি জানতে পারেন স্থানীয় যুবকেরা। তাঁদের পরামর্শ মতোই বেলঘরিয়া থানা ও দক্ষিণেশ্বর জিআরপি-তে বিষয়টি জানান ছোটকাবাবু।

পুলিশের কাছে ওই দম্পতি জানিয়েছেন, ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে একেবারে লাইন ঘেঁষেই পড়ে ছিল ব্যাগটি। ট্রেন যাওয়ার সময়ে প্রবল হাওয়ায় ব্যাগটি একটু সরে গেলেই বিপদ ঘটে যেত। শিশুটির পরনে একটি লাল ছোপ দেওয়া সাদা জামা ছিল। এ দিন সকালে দক্ষিণেশ্বরের ওই ঝুপড়িতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, শিশুটিকে স্নান করিয়ে পাউডার মাখাচ্ছেন নমিতা। বললেন, ‘‘কে যে এত ছোট বাচ্চাকে ফেলে গেল! ও এখন আমাদেরই আর একটা ছেলে।’’ অজ্ঞাত পরিচয় ওই শিশুকে ঘিরেই হাসিখুশিতে ভরে উঠেছিল তাঁদের প্লাস্টিকের ছাউনি দেওয়া ঘুপচি ঘর।

Advertisement

কয়েক ঘণ্টা পরে অবশ্য সেই ঘরেই ছিল বিষাদের ছায়া। কারণ বিকেলেই নিয়ম মেনে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি (সিডব্লিউসি)-র প্রতিনিধিরা শিশুটিকে নিয়ে যান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন