উল্টোডাঙা মোড় থেকে মানিকতলা পর্যন্ত নতুন উড়ালপুল তৈরি নিয়ে সমীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হল কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস-কে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই রাইটসের হাইওয়ে ডিভিশনকে মৌখিক ভাবে এই কথা জানিয়ে দিয়েছে। লিখিত ভাবে কাজ শুরুর নির্দেশ পাওয়ার পরে সরেজমিন কাজ শুরু করবে রাইটস। কেএমডিএ-র এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, রাইটস-এর রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ওই উড়ালপুল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
শহরে নতুন এই উড়ালপুল তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম চাইছেন যে, পোস্তার উড়ালপুল মেরামত করে তার সঙ্গে মানিকতলা উড়ালপুল জুড়ে দেওয়া হোক। তা হলে উল্টোডাঙা থেকে হাওড়া যেতে মাত্র ১০ মিনিট সময় লাগবে। যানজটের সমস্যাও থাকবে না।’’
হাওড়া স্টেশন থেকে গিরিশ পার্ক হয়ে মানিকতলা মেন রোড ধরে প্রতিদিনই প্রচুর গাড়ি উল্টোডাঙা সল্টলেক, বাইপাসের দিকে যাতায়াত করে। ফলে মানিকতলা মেন রোডে যানজটও এখন নিত্যদিনের ঘটনা। উল্টোডাঙা থেকে এই নতুন উড়ালপুলটি তৈরি হলে শহরের যান চলাচল সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে বলে মনে করেন সাধনবাবু।
কিন্তু ২০১৬ সালে ভেঙে পড়া পোস্তা তথা বিবেকানন্দ উড়ালপুল কি মেরামত করা সম্ভব? সাধনবাবুর মতে, ওই উড়ালপুলটি তৈরি করতে একদা সরকারের খরচ হয়েছিল ১৭৫ কোটি টাকা। তাই উড়ালপুলটি পুরোপুরি ভেঙে ফেলা হলে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হবে রাজ্যের। তাই বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সেটি মেরামত করে যাতে ছোট গাড়ি চলাচল করতে পারে, সেই কথা এখন ভাবছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, পোস্তা উড়ালপুলের অবস্থা খতিয়ে দেখতে কিছু দিন আগে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোনও সংস্থাই এগিয়ে আসেনি। ফলে এ নিয়ে ফের টেন্ডার ডাকবে রাজ্য।
রাইটসের এক কর্তা জানাচ্ছেন, মানিকতলা থেকে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২.৩ কিলোমিটার। মানিকতলা থেকে কাঁকুরগাছির দিকে যেতে হলে খাল পেরোনোর জন্য একটিসেতু রয়েছে। রয়েছে একটি রেল সেতুও। নয়া এই উড়ালপুল তৈরি করতে হলে তা ওই দু’টি সেতুর উপর দিয়ে তৈরি করতে হবে। ফলে পোস্তা উড়ালপুলের সঙ্গে এই নতুন উড়ালপুলের সংযুক্তি না হলে তা আদতে কোনও কাজের হবে না। ফলে সব দিক বিবেচনা করেই বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্তা।