খন্দপথ। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
বিধাননগরে ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। অভিযোগ, এর অন্যতম কারণ বেহাল রাস্তা। বর্ষার আগেই রাস্তাগুলির সংস্কার হয়েছিল। তাই নিম্নমানের কাজের অভিযোগও উঠেছে। দত্তাবাদ, কুলিপাড়া, নয়াপট্টির মতো সংযুক্ত এলাকার রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ। বিধাননগর পুরনিগমের অবশ্য দাবি, অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্যই এই দশা। পুজোর আগে প্যাচওয়ার্ক হবে। বর্ষার পরে পূর্ণাঙ্গ সংস্কার হবে।
ইন্দিরা ভবনের সামনের রাস্তায় দিনভর গাড়ির চাপ থাকে। এখানে রাস্তা এমন ভাবে ভেঙেচুরে গিয়েছে যে কোনও সময়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রবীণ বাসিন্দা শান্তনু সরকার বলেন, ‘‘ওখান দিয়ে রিকশা নিয়ে যেতে রীতিমত ভয় লাগে।’’ নেতাজি মূর্তি থেকে বেলেঘাটা-বাইপাস কানেক্টরমুখী রাস্তায় জিডি আইল্যান্ডের আগে এমন ভাবে ভেঙে রয়েছে যে দূর থেকে চোখে পড়ে না। এক গাড়িচালক শশাঙ্ক দাস বলেন, ‘‘রোজ যাতায়াত করি বলে সাবধানে গাড়ি চালাই। নতুন কেউ হলে সমস্যায় পড়বেন।’’ এই অবস্থা বেশ কিছু রাস্তার।
বিধাননগর পুরনিগমের কাজকর্ম দেখছে বোর্ড অব অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন। রাস্তার দায়িত্বও তাদের। বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, এত দ্রুত রাস্তা খারাপ হলে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রায় একই দাবি কংগ্রেস, বিজেপি এবং বামেদের মতো বিরোধী দলগুলির। যদিও প্রশাসন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বাসিন্দাদের সংগঠনের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘রাস্তা খারাপ হতেই পারে। দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা করতে হবে।’’ বোর্ডের সদস্য ও স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, ‘‘কোথায় কোথায় রাস্তা খারাপ, তার তালিকা প্রস্তুত হচ্ছে। দ্রুত মেরামতি হবে।’’