পুজোর আগে রাস্তা সারাই, দিন বেঁধে দিল পুরসভা

পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পুরভবনে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন, শহরের যে সব রাস্তা খারাপ এবং খানাখন্দে ভরা, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলি সারিয়ে ফেলতে হবে। এ দিন পূর্ত, দমকল, পরিবেশ, বন্দর, সিইএসসি, পুলিশ এবং পুর-আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন শোভনবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:১৩
Share:

পুজোর প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পুরভবনে বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বৈঠকে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন, শহরের যে সব রাস্তা খারাপ এবং খানাখন্দে ভরা, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেগুলি সারিয়ে ফেলতে হবে। এ দিন পূর্ত, দমকল, পরিবেশ, বন্দর, সিইএসসি, পুলিশ এবং পুর-আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন শোভনবাবু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোয় লক্ষ লক্ষ মানুষ সামিল হন। দিন রাত চলে যানবাহন। তাই শহরের রাস্তাঘাট ঠিক রাখার দায়ও আমাদের।’’ এর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের একাধিক দফতরেরও সহায়তা চেয়েছেন মেয়র।

Advertisement

শহরের অধিকাংশ রাস্তা পুরসভার হলেও বেশ কিছু রাস্তা রয়েছে পূর্ত, সেচ এবং নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে। কয়েকটি রাস্তা আবার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা বন্দর কর্তৃপক্ষের অধীনে। মেয়রের কথায়, ‘‘প্রতিটি দফতরকে তাদের অধীনে থাকা রাস্তা সারানোর কথা বলা হয়েছে। মহালয়ার আগেই তা করতে হবে।’’ এ দিনের বৈঠকে থাকা দফতরগুলির প্রতিনিধিদের কাছে সেই বার্তা তুলে ধরেন মেয়র। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেউ যদি তাঁদের রাস্তা না সারান, তা হলে পুরসভাই নিজেদের খরচে সেই রাস্তা ঠিক করবে। পরে সংশ্লিষ্ট দফতরের থেকে রাস্তা ঠিক করার খরচ নিয়ে নেবে পুর প্রশাসন।

রাস্তার পাশাপাশি শহরকে আলোয় সাজানোর কথাও ওঠে এ দিনের বৈঠকে। প্রসঙ্গত, শহরে এমন কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে বড় পুজো নেই। তাই সেখানে পুজোর সেই মেজাজ থাকে না। মাসখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রী পুর-প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, পুজোর সময়ে ওই সব এলাকাও আলো দিয়ে সাজাতে হবে। সেই মতো এ বার শারদোৎসবে শহরকে আলোয় সাজাতে প্রস্তুত হচ্ছে পুরসভা। মেয়র তা উল্লেখ করে জানান, আলো দফতরকে সেই মতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

একই সঙ্গে শহর জুড়ে বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং লাগানোর ক্ষেত্রে যাতে সৌন্দর্য বজায় থাকে, সে দিকেও নজর দিতে বলেছেন মেয়র। তিনি জানান, রাস্তার মাঝে ডিভাইডারে টানা বড় হোর্ডিং লাগানো হলে এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তা দেখা যায় না। এতে পুলিশি নজরদারির অসুবিধা হয়। সেই অসুবিধা দূর করার পাশাপাশি শহরের
সৌন্দর্য বজায় রাখতে ডিভাইডারে হোর্ডিং বা বড় বিজ্ঞাপনী ব্যানার ব্যবহারে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে বলে জানান মেয়র।

শোভনবাবু আরও জানিয়েছেন, পুজোয় শহরকে আকর্ষণীয় করতে আলোর পাশাপাশি রেলিং, সেতু-সহ একাধিক এলাকা রং করা হবে। কেটে ফেলা হবে বিপজ্জনক গাছ। মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, শহরে যে সব এলাকায় অশক্ত, দুর্বল গাছ বিপজ্জনক ভাবে রয়েছে সেগুলি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। কিছু গাছ কাটাও শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন