পাইপ পেয়ে উপরে উঠে ছাদের দরজা খোলা পেয়ে ঘরে ঢুকেছিল চোর। তার পরে নিয়ে গেল সোনার গয়না-সহ বেশ কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস। বৃহস্পতিবার রাতে বাগুইআটির অশ্বিনীনগরে। পরের দিন খবর পেয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে তারা। শুরু হয়েছে তল্লাশি।
পুলিশ জানায়, অনন্তকুমার রায় নামে এক প্রৌঢ়ের বাড়িতে ওই চুরি হয়। অনন্তবাবুর ছেলে অয়ন একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। ওই রাতে অয়ন শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। তিনতলা বাড়ির দোতলায় থাকেন অয়নের বাবা, মা ও দিদিমা। তিনতলায় অয়ন ও তাঁর স্ত্রী। শুক্রবার সকালে অনন্তবাবু তিনতলায় উঠে দেখেন, ছাদের দরজা ভেজানো। তখনই সন্দেহ হয় তাঁর। ছেলে-বৌমার ঘরে গিয়ে দেখেন, সব লন্ডভন্ড। দু’টি আলমারি খোলা। বিছানাময় ছড়ানো জিনিস।
খবর পেয়ে বাড়ি আসেন অয়ন। দেখেন, তাঁর ল্যাপটপ এবং আলমারির লকারে থাকা সমস্ত গয়না উধাও। এর পরেই তিনি বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অয়ন জানান, ছাদের দরজা রাতে বন্ধ করা হয়নি। সেই ভুলেরই মাসুল দিতে হল তাঁদের। তাঁর দাবি, প্রায় ১৭ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়েছে।
অয়ন জানান, তাঁদের বাড়িতে একটি বাঁশের লগি ছিল। চোর সেটিও নিয়ে যায়। তার পরে সেই রাতেই তাঁদের এক প্রতিবেশীর বাড়ির জানলা দিয়ে ওই লগি ঢুকিয়ে মোবাইল ফোন চুরি করার চেষ্টা করে। কিন্তু গৃহকর্তা জেগে যাওয়ায় পালিয়ে যায়। ওই পাড়ার আরও একটি বাড়ি থেকে একই ভাবে ক’দিন আগে মোবাইল চুরি হয়েছিল। অয়ন বলেন, ‘‘প্রায় পনেরো বছর ধরে এ পাড়ায় রয়েছি। ছোটখাটো চুরির কথা শুনেছি। কিন্তু বাড়িতে এমন কাণ্ড হবে, তা বুঝতে পারিনি। সর্বস্ব লুঠ হয়ে গেল।’’
পুলিশের সন্দেহ, এই চুরির পিছনে একটি চক্র কাজ করছে। কিন্তু তিনতলার ঘরে সেই রাতে যে কেউ ছিলেন না, সেই খবর চোরকে কে দিল, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।