প্রতীকী চিত্র।
এলাকায় পড়ে থাকা একটি প্রাণীর পচাগলা দেহ সরাতে আসা এক পুর সাফাইকর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার, হাওড়া পুরসভার ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। দু’দিন হাসপাতালে থাকার পরে রাজকুমার ডোম নামে ওই সাফাইকর্মী বৃহস্পতিবার লিলুয়া থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করে এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর নারায়ণ মজুমদারের দাবি, ওই সাফাইকর্মী মৃতদেহ সরাতে ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। তাই তাঁকে ধাক্কা মেরে দলীয় অফিস থেকে বার করে দেওয়া হয়। তবে মারধর করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার লিলুয়ার পঞ্চাননতলা এলাকা থেকে একটি প্রাণীর পচাগলা মৃতদেহ তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ওয়ার্ড অফিসে জানান স্থানীয় এক বাসিন্দা। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজকুমার ঘটনাস্থলে যান। এর পরে দুর্গন্ধ তাড়াতে স্থানীয়দের থেকে কেরোসিন তেল চান তিনি। বছর পঞ্চান্নর রাজকুমারের অভিযোগ, এর পরেই তাঁকে দলীয় অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর মারেন প্রাক্তন কাউন্সিলর। ওই সাফাইকর্মীর দাবি, মারধরের কারণে তাঁর মাথায়, বুকে ও পেটে আঘাত লাগে। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার ওই সাফাইকর্মী বলেন, ‘‘আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই প্রাক্তন কাউন্সিলর মারতে শুরু করেন। রাস্তায় ফেলে লাথি মারেন। প্রায় একশো লোক দাঁড়িয়ে দেখেছেন।’’ তবে নারায়ণবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘উনি মিথ্যে বলছেন। বারবার খবর দেওয়ার চার দিন পরে মত্ত অবস্থায় এসে দেহটি তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য ৩ হাজার টাকা দাবি করেন। তখন আমি ওঁকে দলীয় অফিসে ডেকে পাঠাই। টাকা চাওয়ায় মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু মারধর করিনি। ধাক্কা দিয়ে বার করে দিয়েছি।’’ টাকা চাওয়ার অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি ওই সাফাইকর্মী। তাঁর দাবি, গন্ধ তাড়াতে কেরোসিন তেল চাইলে মারধর করা হয় তাঁকে।
আক্রান্ত ওই পুর সাফাইকর্মী এ বারের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচনী কর্মী হিসাবেও কাজ করবেন। তাই পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন তিনি।