সল্টলেক

আপসে নারাজ উভয় পক্ষ, অটো বন্ধে ভোগান্তি চলছেই

পুলিশ কিংবা অটোচালক— নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি কোনও পক্ষই। যার নিট ফল, শনিবারের পরে রবিবারেও সল্টলেকে ভোগান্তির শিকার হলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বহিরাগতরা। এ দিনও উল্টোডাঙা থেকে করুণাময়ী-পাঁচ নম্বর সেক্টর রুটে বন্ধ রইল অধিকাংশ অটো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৫ ০২:২৮
Share:

পুলিশ কিংবা অটোচালক— নিজেদের অবস্থান থেকে সরেনি কোনও পক্ষই। যার নিট ফল, শনিবারের পরে রবিবারেও সল্টলেকে ভোগান্তির শিকার হলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বহিরাগতরা। এ দিনও উল্টোডাঙা থেকে করুণাময়ী-পাঁচ নম্বর সেক্টর রুটে বন্ধ রইল অধিকাংশ অটো।

Advertisement

বিধাননগর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করুণাময়ীর চারমাথা মোড়ে কোনও অটো এবং রিকশাস্ট্যান্ড করা যাবে না। জনসমাগমের নিরিখে ১০ থেকে ২৫ মিটার দূরে স্ট্যান্ড করতে হবে।

চালকদের পাল্টা দাবি, পুলিশ যেখানে অটো দাঁড়ানোর কথা বলছে, সেটা করুণাময়ী মোড় থেকে খানিকটা দূরে। কিন্তু সব বাসই দাঁড়ায় চারমাথা মোড়েই। পাশাপাশি, সেখানে ফুটপাথে রয়েছে দোকান-বাজার। যাত্রীরাও সেখানেই অপেক্ষা করেন।

Advertisement

চালকদের অভিযোগ, বাসের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশ অটো এবং রিকশার ক্ষেত্রেই এক তরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা।

পুলিশের অবশ্য দাবি, মোড় থেকে ২৫ মিটার দূরে সরলেও যাত্রী পাওয়ার ক্ষেত্রে অটোর সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু চালকেরা তা মানতে নারাজ। দু’পক্ষের সেই অনড় মনোভাবে এ দিনও ভুগলেন সাধারণ মানুষ। ছুটির দিন হওয়ায় এমনিতেই রবিবারে সল্টলেকের বিভিন্ন শপিং মল, বিনোদন পার্কে ভিড় লেগে থাকে। সে সময়ে অটো না পাওয়ায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাত্রীদের কথা ভেবে অবিলম্বে চালকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটাক প্রশাসন। পাশাপাশি শুধু করুণাময়ীই নয়, বিধাননগর কমিশনারেট এলাকার বিভিন্ন ব্যস্ত মোড়গুলিতে ফুটপাথ এবং রাস্তা উন্মুক্ত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু করুণাময়ী মোড়েই নয়, পরবর্তীকালে সল্টলেকের অন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলির সবক’টির ক্ষেত্রেই এমন পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন