প্রথম দিন জালে ধরা পড়েছিল প্রায় ৫০টি গাড়ি। দ্বিতীয় দিনে সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৬০-এ!
শহরে নিয়ম না মেনে চলা স্কুলগাড়ির সংখ্যা দেখে অবাক খোদ পুলিশই। বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার পরে দেখা গিয়েছিল, শিশুদের নিয়ে চলাচল করা বাস ও গাড়িগুলির ঠিক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। কারও চাকা খারাপ তো কারও যন্ত্রাংশ। পরিবহণ দফতরের নির্দিষ্ট নিয়মে পরিচর্যা হচ্ছে না। তাই পাঁচটি দল গড়ে সোমবার থেকেই স্কুলবাস ও স্কুলগাড়ি ধরার অভিযান শুরু করেছিল পরিবহণ দফতর ও পুলিশ। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শহরের নানা জায়গা থেকে আটক ৬০টি বাস ও স্কুলগাড়ির মধ্যে ৫১টিকে জরিমানা করে ছেড়ে দিলেও ৯টির অবস্থা এত খারাপ যে রাস্তায় চালানো যাবে না বলে জানানো হয়েছে। পরিবহণ দফতরের এক কর্তা জানান, সব নথি সঙ্গে না থাকায় কিছু স্কুলগাড়ি সংগঠন রাস্তায় গাড়ি নামানো বন্ধ করে দিচ্ছে। ভোগান্তি হচ্ছে অভিভাবকদের। ওই কর্তার স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘অভিভাবকেরা বিকল্প ব্যবস্থা করুন। কিন্তু নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা যাবে না।’’