কালীপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে রবিবার বেশি রাতে দু’টি ক্লাবের মধ্যে সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ালো হাওড়ার কোনা রোডে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হন। ভাঙচুর করা হয় চেয়ার, টেবিল, টিউবলাইট। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার দুপুরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মহিলারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার রাতে কোনা রোডের কাছে খালিয়ায় কালীপুজো উপলক্ষে কালীতলা ক্লাবের পক্ষ থেকে এলাকার বাসিন্দাদের খিচুড়ি ভোগ খাওয়ানো হচ্ছিল। তখনই পাশের কোনা হালদারপাড়া ভাইভাই সঙ্ঘের কালীপ্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের হয়। অভিযোগ ওই শোভাযাত্রা যখন কালীতলা ক্লাবের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন যাঁরা ভোগ খাচ্ছিলেন তাঁদের দিকে নাগাড়ে শব্দবাজি ছোঁড়া শুরু হয়। এতে ভোগ খেতে আসা মহিলা, শিশু-সহ অনেকে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদ করে এগিয়ে আসেন ওই ক্লাবের সদস্যরা। শুরু হয় বচসা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বচসা তীব্র সংঘর্ষের রূপ নেয়। এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লাঠি, লোহার রড নিয়ে আক্রমণ করে। আক্রান্ত হন মহিলারাও। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি মোটরবাইক। বাধা দিতে এলে আক্রান্ত হন ক্লাবের সদস্য ও ভোগ খেতে আসা মানুষজন। চেয়ার দিয়ে মেরে এক জনের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
এ দিন কালীতলা ক্লাবের পক্ষ থেকে দিলীপ দে বলেন, ‘‘ওরা আমাদের ক্লাবের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যাঁরা খেতে বসেছিলেন তাঁদের দিকে ইচ্ছাকৃত ভাবে বোমা ছুড়তে শুরু করে। প্রতিবাদ করতেই মারধর করে।’’ হালদারপাড়া ভাইভাই সঙ্ঘের পক্ষ থেকে পাঁচু মালাকার বলেন, ‘‘বাজি ফাটানো নিয়ে ওরাই প্রথম আমাদের ছেলেদের গালিগালাজ শুরু করে। তারপরেই গোলমাল হয়। কিন্তু কেউ মারধর, ভাঙচুর করেনি।’’
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্র প্রকাশ সিংহ বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। কী হয়েছিল খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’