মুম্বইয়ে জঙ্গি-আতঙ্কের রেশ ছড়িয়ে পড়ল মহানগরেও। পুলিশ সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় গা়ড়ি তল্লাশি শুরু হয়েছে। গভীর রাতেও রাস্তায় লরি ও অন্যান্য গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চলেছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বাজার, শপিং মল ও বাস টার্মিনাসে। শহরের বিভিন্ন হোটেল, লজ এবং গেস্ট হাউসেও কড়া নজর রাখছে পুলিশ। এ দিন মুম্বইয়ে সেনার উর্দি পরা কয়েক জন যুবককে অস্ত্র-সহ ঘুরতে দেখা গিয়েছে বলে খবর রটে। তার ভিত্তিতেই দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীতে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে একটি সতর্কবার্তা কলকাতা পুলিশের কাছেও এসেছে বলে খবর। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এ দিন বিকেলে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন থানার ওসিদের অবিলম্বে তল্লাশি ও নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ পাঠান।
পুলিশ ও গোয়েন্দা-কর্তারা জানান, পুজোর আগে এমনিতেই বিভিন্ন বাজার ও শপিং মলে ভিড় জমে। সে কথা মাথায় রেখে প্রতিবছরই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এ বার উরির ঘটনার পরে সেই নিরাপত্তা বেড়েছে। গোয়েন্দাদের সূত্র জানাচ্ছে, এ বারও সতর্কবার্তায় বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন বাজার ও শপিং মলের নিরাপত্তার উপরেই জোর দিতে বলা হয়েছে। এক গোয়েন্দা অফিসারের মন্তব্য, ‘‘আমজনতার ভিড় জঙ্গিদের সহজ নিশানা হতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই এই নিরাপত্তা জোরালো করার কথা বলা হয়েছে।’’
লালবাজার সূত্রের খবর, পুজোর নিরাপত্তার জন্য প্রতিবারই কিছু বিশেষ দল তৈরি করা হয়। মোতায়েন করা হয় সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ দলও। এ দিন মুম্বইয়ের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে সেই দলগুলিকেও আরও কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, উরির ঘটনার পরে এমনিতেই হাওড়া, শিয়ালদহের মতো গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন এবং কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ফলে এ দিনের সতর্কতা আলাদা ভাবে কোনও প্রভাব ফেলেনি। নিয়মমাফিক বিভিন্ন রেল স্টেশনে আচমকা তল্লাশি ও মহড়াও চলছে বলে রেল পুলিশ সূত্রের খবর।