বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আজ, রবিবার থেকে কলকাতায় শুরু হলো সমীক্ষা। কলকাতা ছাড়াও দেশের সাতটি বিমানবন্দরে এক মাস ধরে এই সমীক্ষা চলবে বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। এই তালিকায় দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই— এই তিন প্রধান শহর ছাড়াও রয়েছে বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, কোচি এবং তিরুঅনন্তপুরম।
এই আটটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)। তাদের মূল লক্ষ্য, বিমানচালক ও বিমানসেবিকাদের ভয় দেখিয়ে যাতে কোনও যাত্রী বিমান ছিনতাই করতে না পারেন, তা সুনিশ্চিত করা। যা দেখিয়ে ছিনতাই করা সম্ভব এমন কোনও বস্তু নিয়ে কোনও যাত্রী যাতে বিমানে উঠতে না পারেন বিমানে ওঠার আগে সেটাই দেখে কেন্দ্রীয় এই আধা সামরিক বাহিনী। সেই কারণে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ান ও অফিসারদের ‘অ্যান্টি হাইজ্যাকিং ইউনিট’-ও বলা হয়।
এর আগে যাত্রীকে তল্লাশির পরে বোর্ডিং কার্ডে সিআইএসএফ যে স্ট্যাম্প মারত, কলকাতা-সহ বেশিরভাগ বিমানবন্দরেই তা সম্প্রতি তুলে দেওয়া হয়েছে। তার ফলে, নিরাপত্তা বেষ্টনীতে যাত্রীদের কিছুটা সময় কম লাগছে বলে সিআইএসএফ-এর দাবি। এর
পরেও নিজেদের কর্মদক্ষতা বাড়াতে এক মাস ধরে সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরে যাত্রী নিজেকে কতটা নিরাপদ মনে করছেন, নিরাপত্তার জন্য কতটা সময় অপচয় হচ্ছে, কতক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে, নিরাপত্তারক্ষীদের ব্যবহার কতটা মনঃপুত হচ্ছে— এ সমস্তই সমীক্ষা করে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরে সিআইএসএফ-এর অফিসারের কথায়, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার থেকে বারোশো যাত্রীকে দিয়ে ফর্ম পুরণ করানো হবে। সেখানে চাইলে যাত্রী তাঁর পরিচয় গোপনও রাখতে পারবেন। নির্দিষ্ট করে কোনও নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবহার ভাল বা খারাপ লাগলে ওই ফর্মে তা জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। চাইলে সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তারক্ষীর নামও সেই ফর্মে উল্লেখ করা যাবে। নিরাপত্তা বিষয়ে কোনও যাত্রীর কোনও পরামর্শ থাকলেও তা জানানো যাবে ওই ফর্মে। এমনকী বোর্ডিং কার্ডে স্ট্যাম্প মারা তুলে দেওয়ায় তাঁদের কোনও সুবিধা হচ্ছে কি না, তাও জানতে চাওয়া হবে যাত্রীদের কাছ থেকে।