স্থায়ী বাজারে স্বনির্ভর-পণ্য

রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির তৈরি পণ্যের স্থায়ী বাজার হতে চলেছে ইএম বাইপাসের ধারে।তবে বাজার বলতে সাধারণত যা বোঝায়, এ কিন্তু ঠিক তেমনটা নয়। বরং বলা যেতে পারে আধুনিক বহুতল শপিং মলের ধাঁচেই তৈরি হবে এই ঝাঁ-চকচকে বাজার।

Advertisement

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৭ ০১:৫১
Share:

রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির তৈরি পণ্যের স্থায়ী বাজার হতে চলেছে ইএম বাইপাসের ধারে।

Advertisement

তবে বাজার বলতে সাধারণত যা বোঝায়, এ কিন্তু ঠিক তেমনটা নয়। বরং বলা যেতে পারে আধুনিক বহুতল শপিং মলের ধাঁচেই তৈরি হবে এই ঝাঁ-চকচকে বাজার। যেখানে প্রতিটি জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির হাতে তৈরি বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হবে। বাজার বসবে সকালে। তা চলবে রাত পর্যন্ত। আর সঙ্গে চা-পান ও অন্যান্য পেটপুজোর ব্যবস্থা তো থাকবেই।

অনেক দিন ধরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির তৈরি পণ্য বিক্রির কথা বলে আসছিলেন। বিশ্ববাংলা বিপণন কেন্দ্রে অনেক কিছুর মাঝে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কিছু জিনিস রাখা হলেও পাকাপাকি একটি বাজার তৈরির ভাবনাই মুখ্যমন্ত্রীর মাথায় ঘুরছিল। তাঁর সেই ভাবনাকেই বাস্তব রূপ দিতে চলেছেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। ই এম বাইপাসের ধারে ইতিমধ্যেই ১৫ কাঠা একটি জমি দফতরের হাতে এসেছে। নবান্ন সূত্রের খবর, কেএমডিএ-র ওই জমিটি সাধনবাবুর দফতর বেশ কয়েক কোটি টাকায় কিনতে চলেছে। খুব শীঘ্রই রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠকেও প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।

Advertisement

সাধনবাবু জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে প্রথমে কয়েকটি জেলা এসে মাসে ১৫ দিন ব্যবসা করবে, এই সময়সীমা শেষ হলে তাদের জায়গায় আসবে অন্য জেলা। এ ভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সারা বছর ধরে বিভিন্ন জেলা বার বার এসে ওই বাজারে ব্যবসা করবে। কোন সময়ে কোন জেলার পণ্য বিক্রি হচ্ছে সে সম্পর্কে দফতরের পক্ষ থেকে জোরদার প্রচারও চালানো হবে বলে জানান মন্ত্রী। সাধনবাবু বলেন, ‘‘খুব শীঘ্রই রাজ্যের অর্থ দফতর প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়ে দেবে বলে আমি জানতে পেরেছি।’’

রাজ্যে এই মুহূর্তে প্রায় এক লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এই সব গোষ্ঠীগুলি বিভিন্ন ধরনের মশলা থেকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য, ঘর সাজানোর জিনিস, পোশাক, গয়না-সহ নানাবিধ বস্তু ঐক্যবদ্ধ ভাবে তৈরি করে থাকে। শহরে শীতের সময়ে হাতে গোনা কয়েকটি মেলা ছাড়া ওই সব পণ্য বিক্রির বিশেষ সুযোগ
থাকে না। অথচ শহরের ক্রেতাদের কাছে এ ধরনের পণ্যের ভালই চাহিদা রয়েছে। বাইপাসের ধারে বাজারটি তৈরি হয়ে গেলে কলকাতার মানুষ বছরভর ওই সব পণ্য কিনতে পারবেন। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ব্যবসাও বাড়বে।

এই বাজার প্রকল্পটির জন্য যে জমিটি পাওয়া গিয়েছে, সেখানে ইতিমধ্যেই দেড় তলাএকটি বাড়ি তৈরি করা আছে। উল্টোডাঙার খুব কাছে বাইপাসের ধারে ওই জমিতে আগে হকারদের পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্য বাজার নির্মাণের পরিকল্পনা হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় বাড়িটি পড়েই ছিল। বাড়ি-সহ ওই জমিটিতেই নতুন নকশা তৈরি করে বহুতল বাজারটি নির্মাণ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন