একই এলাকায় পরপর চুরি, উদ্বেগ

দু’সপ্তাহের মধ্যে একই এলাকায় দু’টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানায়, ৪ জানুয়ারি বাইপাস সংলগ্ন মেট্রোপলিটনে একটি আবাসনের তিনতলা বাড়ি থেকে একাধিক সামগ্রী চুরি হয়। ১৮ ডিসেম্বর একই আবাসনের একটি একতলা বাড়ি থেকে গয়না, শাড়ি ও নগদ মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share:

দু’সপ্তাহের মধ্যে একই এলাকায় দু’টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানায়, ৪ জানুয়ারি বাইপাস সংলগ্ন মেট্রোপলিটনে একটি আবাসনের তিনতলা বাড়ি থেকে একাধিক সামগ্রী চুরি হয়। ১৮ ডিসেম্বর একই আবাসনের একটি একতলা বাড়ি থেকে গয়না, শাড়ি ও নগদ মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস খোয়া যায়। দু’টি ঘটনারই এখনও কিনারা হয়নি।

Advertisement

পুলিশ জানায়, প্রগতি ময়দানের দক্ষিণী কো-অপারেটিভ হাউসিং সোসাইটির তিনতলা বাড়িতে মা, স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে থাকেন কলকাতা পুরসভার কর্মী তুষারকান্তি ঘোষ। ২৫ ডিসেম্বর সস্ত্রীক বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। ৪ জানুয়ারি সকালে বাড়িতে ছিলেন তুষারবাবুর মা ছবিদেবী ও পরিচারিকা। সকাল ১০টা নাগাদ বেল বাজতে পরিচারিকা দরজা খুলে দেখেন, দু’জন মহিলা দাঁড়িয়ে। বহিরাগতেরা কাজের লোকের প্রয়োজন আছে কি না প্রশ্ন করায় ছবিদেবী বসতে বলেন।

ওই দিন সকাল ১১টা নাগাদ তুষারবাবুরা ফেরেন। তুষারবাবু বলেন, ‘‘মাকে ২৪ ঘণ্টা দেখভালের জন্য লোকের প্রয়োজন ছিল। তাই মা ওঁদের ঢুকিয়েছিলেন। আমি ফিরে এক ঘণ্টার মধ্যে বেরিয়ে যাই। দুপুর দুটো নাগাদ চলে যান ওই মহিলারাও। রাতে বাড়ি ফিরে দেখি, নীচের মন্দির থেকে অষ্টধাতুর রাধাকৃষ্ণ মূর্তি ও একাধিক গয়না।’’ চুরির অভিযোগ দায়ের করেন তুষারবাবু। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখছে পুলিশ।

Advertisement

১৮ ডিসেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা তাপস মুখোপাধ্যায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রাতে ফিরে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পুলিশ জানায়, বাড়ির শৌচাগারের গ্রিল ভেঙে চোরেরা ঢোকে। গয়না, শাড়ি ও নগদ মিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাপসবাবু। ঘটনাস্থল থেকে প্রগতি ময়দান থানার দূরত্ব দেড় কিমি। তাও পরপর চুরিতে আতঙ্কিত স্থানীয়েরা। তাপসবাবুর অভিযোগ, ‘‘আগে রাতে ছোট রাস্তায় টহলদার পুলিশের দেখা মিলত। এখন মেলে না।’’ পুলিশ তা অস্বীকার করে। লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘তদন্ত চলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন