থানায় পুলিশকে হেনস্থা, ধৃত সাত

শুক্রবার বিকেলে কড়েয়া থানার সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযু্ক্তের নাম জাহিদ হোসেন। ওই এলাকায় তিনি সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭ ০১:২৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মহিলা পুলিশকর্মীদের হেনস্থা এবং থানায় ভাঙচুর করার অভিযোগে এক যুবক এবং ছ’জন মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে কড়েয়া থানার সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃতদের মধ্যে মূল অভিযু্ক্তের নাম জাহিদ হোসেন। ওই এলাকায় তিনি সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত।

Advertisement

পুলিশ জানায়, দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী এবং এলাকার সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে এ দিন বিকেলে জাহিদের নেতৃত্বে থানার উদ্দেশে মিছিল করেন এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। কিন্তু থানার অনেকটা আগেই তাঁদের আটকে দিতে ব্যারিকেড করে পুলিশ। অভিযোগ, ওই ব্যারিকেড ভেঙে দেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ বাধা দিতে গেলে আন্দোলনকারীরা তাঁদের উপরেই চড়াও হন বলে অভিযোগ। হকি স্টিক দিয়ে পুলিশকর্মীদের মারধরের অভিযোগও ওঠে। এর পরেই থানা লক্ষ করে ইট-বৃষ্টি শুরু হয়। এর জেরে কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের অভিযোগ, থানার জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পাশের একটি ব্যাঙ্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর পরে মিছিলটি থানায় ঢুকতে গেলে মহিলা পুলিশকর্মীরা বাধা দেন। তখন তাঁদেরও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ এর পরে লাঠিচার্জ করে বলে দাবি বিক্ষোভকারীদের। ঘটনাস্থল থেকে জাহিদ এবং বিক্ষোভকারী মহিলাদের মধ্যে ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও এলাকাবাসীর দাবি, দুর্নীতির অভিযোগে সরব হওয়ার কারণেই জাহিদকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

এই ঘটনা ২০১৪ সালের নভেম্বরে আলিপুর থানায় হামলার স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। তখন হামলার হাত থেকে বাঁচতে টেবিলের তলায় ফাইল মাথায় নিয়ে আশ্রয় নিতে দেখা গিয়েছিল পুলিশ কর্মীকে। এ বারে অবশ্য রুখে দাঁড়ানো হয়েছে বলে দাবি পুলিশেরই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন