Calcutta News

শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে কে কী বললেন?

সাতসকালে হাতু়ড়ির ঘা মেরে ভেঙে ফেলা হল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি। কালি লেপে দেওয়া হল সেই মূর্তির মুখে। কেওড়াতলা শ্মশান সংলগ্ন পার্কের ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শাসক দলের নেতা-নেত্রী, সাধারণ মানুষ-সহ বিশিষ্টজনেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ১৬:৩৪
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

বিলোনিয়া, ভেলোরের পর এ বার কলকাতা। মূর্তি ভাঙার কালিমা লাগল এ শহরের গায়েও।

Advertisement

বুধবার সাতসকালে হাতু়ড়ির ঘা মেরে ভেঙে ফেলা হল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি। কালি লেপে দেওয়া হল সেই মূর্তির মুখে। কেওড়াতলা শ্মশান সংলগ্ন পার্কের ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন শাসক দলের নেতা-নেত্রী, সাধারণ মানুষ-সহ বিশিষ্টজনেরা।

কারও মতে, এই এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনামাত্র। কারও মতে, এ নিয়ে দায় এড়াতে পারে না দেশের সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন
ত্রিপুরার পর কলকাতা, এ বার মূর্তি ভাঙল শ্যামাপ্রসাদের

“আগে নকশাল আমলে এ সব হত। এই ঘটনার নিন্দা হওয়া উচিত। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং দুঃখজনক ঘটনা। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সমর্থক নই। তবে আমার মনে হয়, কোনও দলের নেতৃত্বই এ ধরনের ঘটনা সমর্থন করেন না। কারণ, তাতে তো তাঁরা জনসমর্থন হারাবেন। একে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখব। কোনও কোনও অতি উৎসাহীই এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তাতে কোনও দলের যোগ নেই। এ ধরনের ধ্বংসাত্মক প্রবণতাকে সমূলে বিনাশ করা উচিত। না হলে নৈরাজ্য তৈরি হবে। প্রতিবাদের ভাষা অন্য রকম হওয়া উচিত। ত্রিপুরার ঘটনায় গোটা দেশ জুড়েই তীব্র নিন্দা হচ্ছে। কলকাতাতেও সেই প্রতিবাদ হয়েছে। আমার আপত্তিটা আজকের প্রতিবাদের ভাষায়। এটা গুন্ডামি!”

“মূর্তি ভাঙার বিষয়টাই অত্যন্ত খারাপ। লেনিনের মূর্তি ভাঙা অন্যায়, শ্যামাপ্রসাদের মূর্তি ভাঙাটাও অন্যায়। এটা তো রাজনৈতিক কারণে বসানো হয়নি। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শ্যামাপ্রসাদের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে এটি বসানো হয়েছিল। আজকের ঘটনায় প্রতিবাদ করলেও শাসক দলের মধ্যে স্ববিরোধ রয়েছে। কলকাতায় মূর্তি ভাঙাকে জঙ্গি প্রতিবাদের নমুনা হিসেবে দেখি না। তবে মূর্তি ভাঙাটা অপমানজনক তো বটেই।”

“মূর্তি ভাঙা ঠিক নয়। মূর্তি ভেঙে কোনও বিতর্ক বন্ধ করা যায় না। তা উচিতও নয়। কারণ, একটা রং আর একটা রং দিয়ে প্রতিহত করা যায় না। তবে এই ঘটনায় খানিকটা দায়িত্ব বিজেপি নেতৃত্বের উপরেও বর্তায়। তাঁদের অসংযমী বক্তব্য এবং অসংযমী পদক্ষেপ তরুণ সমাজকে প্ররোচিত করছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন