দক্ষিণেশ্বরে দ্রুত স্কাইওয়াক তৈরি করতে গোড়া থেকেই তৎপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে শনিবার সকালে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব-সহ পুলিশের শীর্ষ কর্তারা এসে এলাকা পরিদর্শন করেন। দেখা হয় প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত এলাকা এবং নকশা।
মন্দিরের রাস্তায় যানজট মেটাতে এই স্কাইওয়াক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু রাস্তার দু’পাশ থেকে দোকান তুলতে আপত্তি জানিয়ে কেএমডিএ-কে কাজ শুরুতে বাধা দেয় রানি রাসমণি রোড দোকানদার সমিতি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এসে দোকািনদের সঙ্গে কথা বললেও জট কাটেনি। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও করেন দোকানদারেরা।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর নবান্নে পুরমন্ত্রী, পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের ডিজি, বেলুড় মঠের সন্ন্যাসী, দক্ষিণেশ্বর মন্দির-কর্তৃপক্ষ ও কামারহাটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সে দিনই তিনি স্পষ্ট জানান, দোকািনদের পুনর্বাসন দিয়েই ১৮ মাসে স্কাইওয়াকের কাজ শেষ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই শনিবার পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তারা দক্ষিণেশ্বরে আসেন। সেখানে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা ও দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদের সম্পাদক কুশল চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। স্কাইওয়াক নির্মাণের বরাত পাওয়া সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা হয়। ঠিক হয়, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
স্কাইওয়াক প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেন, ‘‘যা বলার মন্দির কর্তৃপক্ষই বলবেন। সব সমাধান হয়ে যাবে।’’ কুশলবাবু বলেন, ‘‘প্রকল্প সরকারের। সকলকে অনুরোধ করব সহযোগিতা করতে।’’ নির্মাণকারী সংস্থার ডিরেক্টর আনন্দ সুরেকা জানান, প্রথমে জননী সারদা রোড ও টি এন বিশ্বাস রোডে দোকানিদের পুনর্বাসনের জায়গা হবে। তার পরে রানি রাসমণি রোড বন্ধ করে শুরু হবে নির্মাণকাজ। সেই সময়ে পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা টিএন বিশ্বাস রোড দিয়ে মন্দিরে যাবেন।
দোকানদার সমিতির সম্পাদক অজিত সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের অন্ধকারে রাখলে আন্দোলনে যাব।’’ কামারহাটি পুর-চেয়ারমান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘স্কাইওয়াক হবেই।’’