জমিতে বস্তি, দেরি জলাধার নির্মাণে

বিধাননগর পুরসভা থেকে নিগমে উন্নীত হওয়ায় অনেকগুলি নতুন ওয়ার্ড সংযোজিত হয়েছে। নতুন ওয়ার্ডগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা এখনও হয়নি।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৪২
Share:

—ফাইল চিত্র।

বিধাননগর পুরসভার অধীনে সল্টলেকের এ-এফ ব্লকে পাঁচ নম্বর ট্যাঙ্কের পাশে একটি জলাধার তৈরি করছে পুরসভা। পাশেই ৩০ থেকে ৩২টি পরিবার বেআইনি ভাবে সরকারি জমি দখল করে বসবাস করছে। ফলে জলাধার তৈরির কাজ গতি হারিয়েছে। এই বস্তি না সরালে জলাধার তৈরির কাজ গতি পাবেই না। এমনই মনে করছেন পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা। সামনেই নির্বাচন। তাই এখনই বস্তি সরানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। পুরসভার ভোট মিটলেই বস্তিবাসীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভা থেকে নিগমে উন্নীত হওয়ায় অনেকগুলি নতুন ওয়ার্ড সংযোজিত হয়েছে। নতুন ওয়ার্ডগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা এখনও হয়নি। সম্প্রতি নিউ টাউন থেকে সল্টলেকে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ৭০ লক্ষ গ্যালন জল নিউ টাউন থেকে পাওয়ার কথা। পুরসভা নতুন দু’টি ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরি করছে। তার মধ্যে একটি পাঁচ নম্বর ট্যাঙ্কের পাশে। অন্যটি ১৩ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে। পাঁচ নম্বর ট্যাঙ্কের পাশের জলাধারে তিরিশ লক্ষ গ্যালন জল ধরে রাখা যাবে। এখান থেকে ২২ থেকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হবে। আর ১৩ নম্বর ট্যাঙ্কের

কাছের জলাধারে তিরিশ লক্ষ গ্যালন জল ধরে রাখা হবে। সেই জল দেওয়া হবে ৩৫ এবং ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। সুকান্তনগর ও চিংড়িঘাটা এলাকায়। সেই মতোই নকশা তৈরি করে জলাধারের কাজ চলছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিধাননগর পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন মৈত্র বলেন, ‘‘কেএমডিএ এই জলাধার তৈরির কাজ ‘অম্রুত’ প্রকল্পের অধীনে হাতে নেয়। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের জুলাই মাসে। কিন্তু তা সম্ভব নয়। আশা করছি ২০২০ সালের মধ্যে জলাধার তৈরির কাজ শেষ হবে।’’

পুরসভার এক কর্তা জানান, সল্টলেকে এত দিন গভীর নলকূপের জল সরবরাহ করা হত। লোহার ভাগ বেশি হওয়ায় জলে লালচে ভাব ছিল। এখন টালা এবং নিউ টাউন থেকে জল মেলায় পরিস্রুত জল পাওয়া যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন