লন্ডনের ক্লক টাওয়ার বিগ বেন-এর ছোট সংস্করণ। কয়েক মাস পরে দেখা যাবে কলকাতাতেও। ভিআইপি রোডের লেকটাউনের মোড়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই ক্লক টাওয়ার তৈরির কাজ। এই প্রকল্প শেষ হলে বাঙুর-লেকটাউন এলাকার সৌন্দর্যায়নে আরও একটি পালক যুক্ত হবে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দা থেকে দক্ষিণ দমদম পুর-কর্তৃপক্ষের।
লন্ডন ক্লক টাওয়ারটি লোকমুখে ‘বিগ বেন’ নামে খ্যাত। আসলে এই টাওয়ারে ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত বিশাল ঘণ্টাটির নাম বিগ বেন। টাওয়ারের পোশাকি নাম এলিজাবেথ টাওয়ার। লেকটাউন ক্লক টাওয়ারের এখনও কোনও নামকরণ হয়নি। লন্ডনের টাওয়ারটির মতোই লেকটাউনের ক্লক টাওয়ারের চার দিকে থাকছে ঘড়ি। তবে এ ক্ষেত্রে টাওয়ারের উচ্চতা হবে ৯০ ফুট। কয়েক মাস ধরে ভিআইপি রোডের ধারে গোলাঘাটা, লেকটাউন, বাঙুরে চলছে জোরকদমে সৌন্দর্যায়ন। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে নয়ানজুলির সৌর্ন্দযায়ন, রাস্তার দু’পাশে বাহারি বাতিস্তম্ভ, থিম পার্ক, বিসর্জন ঘাট। কয়েক মাসেই পাল্টে গিয়েছে ভিআইপি রোডের লেকটাউন, বাঙুর গোলাঘাটা মোড় এলাকা। বাসিন্দাদের একাংশ জানাচ্ছেন, উল্টোডাঙা মোড় থেকে ভিআইপি রোডে উঠলেই এই সৌন্দর্যায়ন টের পাওয়া যায়। এক দিকে উড়ালপুল ও আন্ডারপাস তৈরি হচ্ছে। অন্য দিকে, চলছে এই সৌন্দর্যায়ন। এলাকার বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, “আশা করা যায় ছ’মাসেই ক্লক টাওয়ারের কাজ শেষ হবে। কেষ্টপুর খালের সৌন্দর্যায়নও দ্রুত শুরু হবে।”
(১) লন্ডনের বিগ বেন। সৌজন্যে গেটি ইমেজস।
(২) প্রস্তাবিত ক্লক টাওয়ারের নকশা। ছবি শৌভিক দে।
সুজিতবাবু জানিয়েছেন, দক্ষিণ দমদম পুরসভার উদ্যোগে এই ক্লক টাওয়ারটি তৈরি হচ্ছে। টাওয়ার তৈরির জন্য মাটির পাইলিং শুরু হয়েছে। টাওয়ার তৈরি হলে পর্যটকদের কাছে এলাকার আকর্ষণ বাড়বে।
সঠিক সময়ের জন্য প্রসিদ্ধ বিগ বেন-এর ঘড়ি দেখতেও পাওয়া যায় অনেক দূর থেকে। সুজিতবাবুর দাবি, এই টাওয়ারের চারটি ঘড়িও সারা বছর ঠিক সময় দেবে এবং দূর থেকে দেখা যাবে। সেই সঙ্গে টাওয়ারের চার দিকে বসার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনায় রয়েছে।
বিগ বেনের মতোই এই টাওয়ারে থাকবে বিভিন্ন ধরনের নকশা। চারটি ঘড়ি চার দিকে মুখ করে থাকায় ভিআইপি রোডের পাশাপাশি লেকটাউন রোডের যাত্রীরাও এক ঝলকে ঘড়ির সময় দেখে নিতে পারবেন। রাতে টাওয়ারকে আরও আকর্ষণীয় করতে বাইরে থেকে জোরালো আলো ফেলা হবে। টাওয়ারের উঠতে কোনও লিফট থাকবে না। সিঁড়ি থাকলেও পর্যটকরা টাওয়ারের উপরে উঠতে পারবেন না।