রেকে ধোঁয়া, পাতালে আতঙ্ক-সফর চলছেই

পাতালে বিপত্তি আর কাটছে না। শুক্রবারের পরে রবিবার। আবারও সেই যান্ত্রিক ত্রুটি মেট্রোতে। আচমকা ধোঁয়া দেখে যাত্রীদের আতঙ্ক। সব কিছুর মিলিত ফল, ১০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আটকে রইল পরিষেবা। নিত্য দিন এই ঘটনা ঘটায় যাত্রীদের মধ্যে এখন রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মেট্রো নিয়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৭
Share:

পাতালে বিপত্তি আর কাটছে না।

Advertisement

শুক্রবারের পরে রবিবার। আবারও সেই যান্ত্রিক ত্রুটি মেট্রোতে। আচমকা ধোঁয়া দেখে যাত্রীদের আতঙ্ক। সব কিছুর মিলিত ফল, ১০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে আটকে রইল পরিষেবা।

নিত্য দিন এই ঘটনা ঘটায় যাত্রীদের মধ্যে এখন রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে মেট্রো নিয়ে। তাঁরা বলছেন, পুজোর আগে হাতে আর দু’সপ্তাহও নেই। প্রতি বছরের মতো এ বারও ওই সময়ে দ্বিগুণ ভিড় হবে। কিন্তু প্রতিদিন যান্ত্রিক ত্রুটিতে যে ভাবে মাঝপথে আটকে পড়ছে মেট্রো, তাতে পুজোর ভিড়ে কী হবে? শুধু যাত্রীরাই নয়, বারবার এমন ঘটতে দেখে পুজোর ভিড় কতটা সামাল দেওয়া যাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মেট্রোর অন্দরেও।

Advertisement

কী ঘটেছিল রবিবার?

মেট্রো সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ১০-২৪ মিনিট নাগাদ কবি সুভাষগামী একটি ট্রেন মহাত্মা গাঁধী রোড স্টেশনে পৌঁছনো মাত্র ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। কামরার নীচ থেকে আচমকা ধোঁয়া বেরোতে দেখে যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন ট্রেনের মোটরম্যান (চালক)। প্ল্যাটফর্মের কর্মীরা এসে যাত্রীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেন। ট্রেনটি পরীক্ষা করে কোনও ত্রুটি খুঁজে না পাওয়ায় মিনিট দশেক পর ফের ওই ট্রেনই যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করে।

মেট্রো রেলের জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনার জেরে এ দিন ১০ মিনিট মতো ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। ওই রেকটিকে দিয়েই তার পরেও পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আর কোনও অঘটন ঘটেনি।’’ তবে মেট্রো কর্তারা রেকটিকে যতই ত্রুটিমুক্ত বলতে চেষ্টা করুন না কেন, সেটি যে মাঝপথে কোনও কারণে বিগড়ে ছিল, সেটা পরিষ্কার। যাত্রীদের বক্তব্য, ধোঁয়া দেখতে পেয়েই আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করায় মোটরম্যান সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু পরীক্ষা করে কোনও ত্রুটি খুঁজে না পাওয়ার দায়ও তাঁদের। রেকটি যে আবারও খারাপ হতো না, তার নিশ্চয়তা দেবে কে?

শুধু অনিয়মিত পরিষেবায় নাজেহাল অবস্থাই নয়, মেট্রোয় চলাফেরা করাটাই এখন কার্যত আতঙ্ক। আর এর দায় মেট্রো কর্তাদেরই। নিত্য দিন তাঁদের পরিষেবায় ছেদ পড়তে পড়তে যাত্রীদের মধ্যে ওই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যা সহজে চলে যাওয়ার নয়। গুনতিতে যতই বেশি মেট্রো চালানো হোক না কেন, নতুন রেক এনে যাত্রীদের মন থেকে ওই আতঙ্ক আগে দূর করতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। তার পরেই মেট্রো যাত্রা সুখকর হবে বলে মন্তব্য মেট্রো কর্মীদের একাংশের।

আগাম ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার মেট্রো চলা শুরু হয়েছিল সকাল ৬-৪৫ মিনিট থেকে। ফলে বাড়ানো হয়েছিল মেট্রোর সংখ্যাও। কিন্তু নতুন রেক একটিও আসেনি এখনও। সেই মান্ধাতা আমলের রেকের ভরসাতেই এ দিন পরিষেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মেট্রো কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement