বৃদ্ধাকে ছুরি দেখিয়ে টাকা লুঠ হাওড়ায়

এলাকা থেকে থানার দূরত্ব মেরেকেটে সওয়া কিলোমিটার। এলাকাটি যথেষ্ট জনবহুল। সেখানেই একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধাকে অস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুঠের অভিযোগ উঠল। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য হাওড়ার জয়নারায়ণ সাঁতরা লেনে। পুলিশ জানায়, তারক দত্ত নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে রেখে স্ত্রী ও বন্ধুদের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০১৫ ০৩:০৬
Share:

এলাকা থেকে থানার দূরত্ব মেরেকেটে সওয়া কিলোমিটার। এলাকাটি যথেষ্ট জনবহুল। সেখানেই একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধাকে অস্ত্র দেখিয়ে টাকা লুঠের অভিযোগ উঠল। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য হাওড়ার জয়নারায়ণ সাঁতরা লেনে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, তারক দত্ত নামে এক বস্ত্র ব্যবসায়ী বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে রেখে স্ত্রী ও বন্ধুদের সঙ্গে দিঘা বেড়াতে গিয়েছিলেন। মাকে দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে যান প্রতিবেশী এক মহিলাকে। এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ ওই মহিলা রান্না সেরে নিজের কাজে চলে যান। এর পরেই ন’টা নাগাদ রান্নাঘরের জানলার রড বেঁকিয়ে দুই দুষ্কৃতী তারকবাবুর বাড়িতে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ। বাড়িতে তখন একাই ছিলেন তারকবাবুর সত্তরোর্ধ্ব মা বকুলদেবী। তাঁকে অস্ত্র দেখিয়ে দুষ্কৃতীরা টাকা-পয়সা ভর্তি বাক্স নিয়ে চম্পট দেয়।

ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘ঘরে ঢুকেই দুই যুবক আমার মুখ চেপে ধরে ছুরি দেখিয়ে বলে, চেঁচালেই খুন করে দেব। খাটের নীচে একটি বাক্সে ছেলে টাকা-পয়সা রেখেছিল। তা নিয়ে চম্পট দেয় তারা। আতঙ্কে চিৎকার পর্যন্ত করতে পারিনি।’’ দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে প্রতিবেশীদের খবর দেন বকুলদেবী। খবর পেয়ে দুপুরে ফিরে আসেন তারকবাবুরা। তিনি জানান, মুম্বইয়ের এক বস্ত্র-ব্যবসায়ী বন্ধু তাঁর কাছে ওই টাকা রেখে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি, বাড়ি তৈরির জন্য আরও কিছু টাকা তিনি ব্যাঙ্ক থেকে এনেছিলেন।

Advertisement

তারকবাবুর কথায়, ‘‘ওই টাকা যে জায়গায় রাখা ছিল, সেই খবর বাড়ির লোক ছা়ড়া কেউ জানত না। দুষ্কৃতীরা কী ভাবে টাকা রাখার জায়গাটি জানল, সেটাই বুঝতে পারছি না।’’ এই ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়েরা। এক বাসিন্দা সমর রায় বলেন, ‘‘এত কাছে থানা, তার পরেও সকালবেলা এই ঘটনা। এলাকায় পুলিশের বিন্দুমাত্র নজরদারি নেই’’। হাওড়া পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ঠিক কত টাকা লুঠ হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। মনে হচ্ছে, স্থানীয় দুষ্কৃতীরাই জড়িত। দ্রুত তারা ধরা পড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন