ফের শহরে দাপট বাড়ছে ছিনতাইবাজদের! যার সর্বশেষ উদাহরণ সোমবার ভোরে পাটুলির সেন্ট্রাল ক্লাবেরর ঘটনা।
পুলিশ জানায়, পৌনে ছ’টা নাগাদ প্রাতর্ভ্রমণে বেরোন মৌসুমী নায়েক নামে এক মহিলা। তখন তিন দুষ্কৃতী পিছন থেকে মোটরবাইকে এসে ওই মহিলার গলার হার ছিনতাই করে পালায়। ক’দিন আগেই বর্ধমান থেকে পাটুলিতে বাপের বাড়িতে আসেন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, তখন অনেক প্রাতর্ভ্রমণকারী থাকলেও কেউই বাইকের নম্বর দেখতে পাননি। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তিন দুষ্কৃতীর মাথায় হেলমেট ছিল না। ছিনতাই করে তারা বাইপাসের দিকে চলে যায়।
লালবাজার সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে শহরে পাঁচটি ছিনতাই হয়েছে। ২২জুন একই দিনে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তিনটি ছিনতাইয়ের ঘটনা নথিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে সার্ভে পার্ক এবং পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকায় দুই বৃদ্ধার হার ছিনতাই করে পালায় বাইকে আসা ছিনতাইবাজেরা। অন্য দু’টি ঘটনা ঘটে বেনিয়াপুকুর ও কড়েয়া থানা এলাকায়।
গোয়েন্দারা জানান, তিন মাসে এ নিয়ে প্রায় ৩৫টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে শহরে। কয়েকটি ক্ষেত্রে গ্রেফতারও করা হয়েছে কয়েক জন ছিনতাইবাজকে। তবুও লাগাতার ছিনতাইয়ে লাগাম টানা যায়নি বলে অভিযোগ। সোমবারই কলকাতা পুলিশের মাসিক ক্রাইম বৈঠকে ছিনতাইবাজদের হাত থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনের প্রাতর্ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলেছিলেন পুলিশ কমিশনার।
তদন্তকারীদের দাবি, বাইকআরোহী ছিনতাইবাজদের দাপট দক্ষিণ শহরতলিতে বেশি। নির্জন স্থানে বৃদ্ধা এবং মহিলাদের টার্গেট করে তারা। গোয়েন্দাদের একাংশের দাবি, কলকাতা লাগোয়া এলাকার দুষ্কৃতীরা এসেও ছিনতাই করে পালাচ্ছে। ফলে চট করে তাদের নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশেরই একাংশের অনুমান, ইদানীং কিছু ছিনতাইবাজ জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। তার ফলেই শহরের নানা প্রান্তে ছিনতাই শুরু হয়েছে। বছর দুয়েক আগেও কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে বাইকআরোহী ছিনতাইবাজদের দাপট বেড়েছিল। যাদবপুর, ঢাকুরিয়া ও কসবায় ছিনতাই করতে এসে গুলিও চালিয়েছিল ছিনতাইবাজেরা। তখন ধরপাকড়ের পরে ছিনতাইয়ে ঘটনায় লাগাম টানা গিয়েছিল।
কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা বলেন, ‘‘সামনেই পুজোর মরসুম। এ সময়ে ছিনতাই, কেপমারি রুখতে বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়। তাই জুনের পর পর ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছেন গোয়েন্দারা।’’