ভেঙে পড়া বাতিস্তম্ভে বাড়ছে বিপদ

বাসের ধাক্কায় বিদ্যুতের খুঁটিগুলি নষ্ট হওয়ায় সেগুলি সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৬
Share:

অপচয়: ভেঙে রাস্তায় পড়ে রয়েছে বাতিস্তম্ভ। বিচ্ছিন্ন করা হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ।

নিউ টাউনের থাকদাঁড়ি বাসস্ট্যান্ডে বাতিস্তম্ভে ‘বিপদ’!

Advertisement

স্থানীয় সূত্রের খবর, পুজোর আগে ১২সি/২ থাকদাঁড়ি-হাওড়া রুটের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় দশটিরও বেশি নতুন বাতিস্তম্ভ লাগিয়েছিলেন হিডকো কর্তৃপক্ষ। বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, নতুন আলো লাগানোর পরে সপ্তাহখানেক যেতে না যেতেই বাস ঘোরানোর সময়ে স্ট্যান্ডের তিনটি বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ে। তিনটি খুঁটির একটি থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে বলে দাবি তাঁদের একাংশের। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড চত্বরের মাঝের বাতিস্তম্ভটি বাঁ দিকে কাত হয়ে রয়েছে। দু’ধারে মাটিতে পড়ে রয়েছে দু’টি বিদ্যুতের খুঁটি। তারই একটির চারপাশ সিমেন্টের বোল্ডার দিয়ে ঘেরা। কারণ জানতে চাইলে বাসগুমটিতে থাকা কর্মীরা জানান, সম্প্রতি এক বার বাসের চাকা বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে লেগে স্ফুলিঙ্গ দেখা গিয়েছিল। সেই থেকে যাত্রীদের সতর্ক করতে এমন ব্যবস্থা!

স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, বিকেল ৫টার পরে আলো জ্বালানো হয়। তখনই ‘বিপজ্জনক’ হয়ে ওঠে মাটিতে পড়ে থাকা বাতিস্তম্ভ। কেষ্টপুর, ভিআইপি রোড হয়ে হাওড়া যাওয়ার জন্য সংলগ্ন পঞ্চায়েত এলাকার বহু মানুষ এই স্ট্যান্ড থেকে বাস ধরেন। পাশেই রয়েছে একটি বিনোদন পার্ক। বাসস্ট্যান্ডের সামনে রয়েছে একটি আবাসনও।

Advertisement

আবাসনের ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অনিল দুবে বলেন, ‘‘বিদ্যুতের খুঁটিটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, সে কথা জানিয়ে মাসখানেক আগে আমি হিডকোর আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তখন হিডকোর এক অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জায়গাটি দেখে বলেন, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের জন্য ব্যস্ততা আছে। সম্মেলন মিটলেই বিপজ্জনক স্তম্ভ সরানো হবে।’’ অনিলবাবুর কথায়, ‘‘সম্মেলন শেষেও একাধিক বার ফোন করেছি। কিন্তু কাজ হয়নি।’’

দিনের বেলাতেও তাতে জ্বলছে আলো। নিউ টাউনে। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

হিডকো সূত্রের খবর, বাসের ধাক্কায় বিদ্যুতের খুঁটিগুলি নষ্ট হওয়ায় সেগুলি সরানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টো দিকে, বাতিস্তম্ভ ভাঙার পিছনে বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদারের পরিকল্পনাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বাসমালিকদের একাংশ। রাজু প্রসাদ নামে এক বাসমালিকের অভিযোগ, ‘‘খুঁটিগুলি তাড়াহুড়ো করে পোঁতা হয়েছে। বাতিস্তম্ভের চারপাশ সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো হলে সেগুলি এ ভাবে ভেঙে পড়ত না। বাসস্ট্যান্ডে যখন বাতিস্তম্ভ, তখন এই দিকটি খেয়াল রাখা উচিত ছিল।’’

বাসমালিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য প্রসঙ্গে হিডকোর আলো বিভাগের এক ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার প্রতিনিধিদের দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। যে খুঁটি ভেঙে পড়ে আছে, তা মেরামত হবে। স্থায়ী ভাবে খুঁটিগুলি তৈরির কথা বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন