এ ভাবেই নির্মাণস্থলে জমে থাকে জল। নিজস্ব চিত্র
নির্মীয়মাণ বাড়ি ও আবাসন থেকে জমা জল সরানোর নির্দেশ দিল রাজপুর-সোনারপুর পুরসভা। জল দ্রুত না সরালে আবাসনের নকশা বাতিল করা হবে বলে ফরমান জারি করা হয়েছে।
গত বছর ডেঙ্গিতে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই পুর এলাকায়। তাই এ বার ডেঙ্গি প্রতিরোধে পুরসভা কড়া পদক্ষেপ করছে। পুরসভা সূত্রের খবর, ৩৫টি ওয়ার্ডে প্রায় দেড়শোর বেশি নির্মাণকাজ চলছে। এক পুর ইঞ্জিনিয়ার জানান, নির্মীয়মাণ কাজের সময়ে বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে কাঠামোয় জল ধরে রাখতে হয়। সেই জলেই এডিস ইজিপ্টাইয়ের লার্ভা জন্মানোর আশঙ্কা রয়েছে।
সর্তকতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সম্প্রতি রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার সব ওয়ার্ডের প্রোমোটারদের নিয়ে বৈঠক করেন পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস। তিনি বলেন, ‘‘মশার লার্ভা নিধনে হয় জমা জল সরাতে হবে, না হলে ওই জলে নিয়মিত পোড়া মোবিল ঢালতে হবে। পুরসভার তরফে নজরদারি রাখা হচ্ছে।’’
প্রোমোটারদের সতর্ক করে দেওয়ার পাশাপাশি গড়িয়া, বোড়াল, মহামায়াতলা, রাজপুর ও সোনারপুর বরোর ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের নিজেদের এলাকায় নির্মীয়মাণ ভবনেও নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফেও ডেঙ্গি সচেতনতার প্রচারে গিয়ে যদি কর্মীরা জমা জলের হদিস পান তা হলে পুরসভায় রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এক কর্তার কথায়, সব ওয়ার্ডের পুকুর মালিকদের বর্ষার আগে পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এ বার নির্মীয়মাণ কাজে নজরদারি রাখা হচ্ছে।
রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস বলেন, ‘‘এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ যাতে না হয়, সে জন্য প্রোমোটারদের বলেছি, পুরসভার সঙ্গে সহযোগিতা করতে। তা না পেলে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, ছোট পুরসভা, তাই পরিকাঠামোর একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে হবে।