Jadavpur University

চলতি বছরেও বিশেষ সমাবর্তন হচ্ছে না যাদবপুরে

করোনার কারণে গত দু’বছরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়নি। এ বছর বার্ষিক সমাবর্তন হলেও সাম্মানিক ডি লিট এবং ডি এসসি ডিগ্রি দেওয়া হবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:১৬
Share:

রীতি অনুযায়ী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২৪ ডিসেম্বর। ফাইল ছবি

করোনার কারণে গত দু’বছরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়নি। এ বছর বার্ষিক সমাবর্তন হলেও সাম্মানিক ডি লিট এবং ডি এসসি ডিগ্রি দেওয়া হবে না। অর্থাৎ, বিশেষ সমাবর্তন হবে না। ২০১৯ সালেও প্রবল বিতর্কের মধ্যে বিশেষ সমাবর্তন হয়নি।

Advertisement

রীতি অনুযায়ী, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২৪ ডিসেম্বর। একই দিনে প্রথমে বিশেষ সমাবর্তনে সাম্মানিক ডি লিট এবং ডি এসসি ডিগ্রি দেওয়া হয়। এর পরে বার্ষিক সমাবর্তনে পড়ুয়াদের হাতে বিভিন্ন ডিগ্রি তুলে দেওয়া হয়। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বুধবার জানিয়েছেন, এ বার শুধু বার্ষিক সমাবর্তন হবে। বিশেষ সমাবর্তন হবে না। গোটা বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের অনুমতি নিতে বৈঠক হবে ১২ অক্টোবর। বৈঠক করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশন অনুমতি দিয়েছেন। তবে তিনি ওই দিন উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

সাম্মানিক ডি এসসি এবং ডি লিট না দেওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ২০১৯ সালের সমাবর্তন ঘিরে প্রভূত বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। সেই বছর কবি শঙ্খ ঘোষ ও প্রাক্তন বিদেশসচিব সলমন হায়দারকে ডি লিট এবং আইএসআই-এর অধিকর্ত্রী সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজ্ঞানী সিএনআর রাওকে সাম্মানিক ডি এসসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে ওই বিষয়ে কোর্টের বৈঠকে সলমন হায়দারকে নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পাশাপাশি সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ছিল, ‘‘ইনি কে?’’ তবে কোর্টের বাকি সদস্যেরা ওই চার জনের নামে সম্মতি জানানোয় রাজ্যপালের আপত্তি খারিজ হয়ে যায়। এর পরে ডি লিট, ডি এসসি প্রাপকদের শংসাপত্রে সই করে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন।

Advertisement

সেই সময়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিতর্কের আবহে পড়ুয়াদের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা রাজ্যপালের উপস্থিতিতে ডিগ্রি নিতে অনিচ্ছুক। এই পরিস্থিতিতে স্থগিত থাকে বিশেষ সমাবর্তন। রাজ্যপালকে পড়ুয়াদের বক্তব্য জানানোও হয়েছিল। তবুও ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সমাবর্তনের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে এলেও বিক্ষোভের জেরে ঢুকতে পারেননি। সূত্রের খবর, ওই সময়ে তিনি ডি এসসি এবং ডি লিট প্রাপকদের শংসাপত্রগুলি আবার চেয়ে নেন। সেগুলি আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত আসেনি। এরই মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন শঙ্খবাবু। ডি এসসি এবং ডি লিট প্রাপক চার জনকে এখনও সম্মান জানানো হয়নি। এর সঙ্গে রাজ্যের অধীনস্থ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে বিল পাশ হয়ে তা রাজ্যপালের সম্মতির অপেক্ষায়। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ সমাবর্তনের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন কোনও বিতর্ক চাইছেন না বলেই খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement