হিন্দু হস্টেল খোলার আশ্বাস দিল রাজ্য

আবাসিকদের হাতে তুলে দিতে হলে হিন্দু হস্টেলের বিল্ডিং ওয়ানের কাজ সব পক্ষের সমন্বয়ে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা দরকার বলেই এই নির্দেশে জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৬
Share:

হিন্দু হস্টেল। ফাইল চিত্র

হিন্দু হস্টেলের একটি অংশ ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সংস্কার করে আবাসিকদের থাকতে দেওয়া সম্ভব বলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাল রাজ্য সরকার। তবে পড়ুয়ারা বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান। তাই অনশন, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

শুক্রবার পূর্ত দফতরের প্রতিনিধিরা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়ুয়া এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। পূর্ত দফতরের প্রতিনিধিদের সামনেই রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার উচ্চশিক্ষা দফতর থেকে আসা নির্দেশ পড়ুয়াদের জানান। আবাসিকদের হাতে তুলে দিতে হলে হিন্দু হস্টেলের বিল্ডিং ওয়ানের কাজ সব পক্ষের সমন্বয়ে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা দরকার বলেই এই নির্দেশে জানানো হয়েছে। বিল্ডিং ওয়ানে ১১০ জন আবাসিক থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, উচ্চশিক্ষা সচিবের নেতৃত্বে পূর্ত দফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিয়ে হিন্দু হস্টেলের বিষয়ে একটি কমিটি সম্প্রতি তৈরি করে দিয়েছে রাজ্য। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, হস্টেল দ্রুত দেওয়া হবে। পড়ুয়ারা অনশন তুলে দিন।

আন্দোলনকারীদের দাবি, হিন্দু হস্টেল খোলার আগের কয়েকটা দিন ছাত্রেরা মেন বিল্ডিং-এর করিডরে থাকবেন। তাঁদের জন্য দু’টি থাকার ঘর ও স্টাডি রুম খুলে দিতে হবে। অবিলম্বেই আবাসিকেরা তাঁদের জিনিসপত্র রাজারহাটের হস্টেল থেকে হিন্দু হস্টেলে স্থানান্তরিত করবেন। হস্টেলে যাঁরা আগে থাকতেন, স্নাতকোত্তর স্তরের এমন পড়ুয়াদের সকলে হস্টেলের বোর্ডারশিপ দিতে হবে। হস্টেলের কাজ দেখভাল করার জন্য আবাসিকদের নিয়ে একটি ওয়েলফেয়ার কমিটি গড়ারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁদের দাবি, আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের চিকিৎসাজনিত সব খরচ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহন করতে হবে। সমাবর্তনের আগে গেট বন্ধ করে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে উপাচার্য এবং অন্য শিক্ষকেরা এক দিন ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেননি। সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তৈরি তদন্ত কমিটি অবিলম্বে প্রত্যাহার করারও দাবি উঠেছে। প্রসঙ্গত, এ দিন এই কমিটি ৩৫ জন পড়ুয়াকে ডেকেছিল। তবে কমিটির কাজ হয়নি।

Advertisement

এ দিন ছিল অনশনের পঞ্চম দিন। লাগাতার অনশনরত ১০ জন পড়ুয়ার মধ্যে দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় যোগ দিয়েছেন আরও দুই পড়ুয়া। পাশপাশি, এক দিনের অনশনে যোগ দিয়েছিলেন আরও ৬০ জন পড়ুয়া।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন