ঝিল বাঁচাতে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র

ঝিল বাঁচানোর এই নয়া পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এবং কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে ইতিমধ্যেই ওই ঝিলের সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০১:২৭
Share:

এই ঝিলেই তৈরি হবে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বিক্রমগড়ে। নিজস্ব চিত্র

ঝিল সংস্কারে একের পর এক পরিকল্পনা। সংস্কার শুরু হয়েও মাঝপথে থমকে যাওয়া। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক। এ সবেই পরিচিত একটা নাম বিক্রমগড় ঝিল। এ বার সেই ঝিল বাঁচানোর উদ্যোগের তালিকায় নয়া সংযোজন হল ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র!

Advertisement

ঝিল বাঁচানোর এই নয়া পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের। রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর এবং কলকাতা পুরসভা যৌথভাবে প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর, প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রথম ধাপ হিসেবে ইতিমধ্যেই ওই ঝিলের সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ঝিলের গভীরতা এই মুহূর্তে কত, তা জানতে নৌকায় চড়ে সমীক্ষা করেছে বিশেষজ্ঞ দল। কারণ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরিতে জলাশয়ের গভীরতা জানা জরুরি, বলছেন পুর আধিকারিকেরা। এ জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কাছ থেকে দু’টি নৌকাও চাওয়া হয়েছিল। সেই অনুযায়ীই ঝিলের নকশা তৈরি হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

প্রকল্পটির কারিগরি উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন অপ্রচলিত শক্তি বিশেষজ্ঞ শান্তিপদ গণচৌধুরী। তাঁর কথায়, ‘‘ভাসমান কেন্দ্র তৈরি করতে জলের গভীরতা জানা প্রয়োজন। তাই ইকো সাউন্ডিং পদ্ধতিতে ঝিলের গভীরতা বার করা হয়েছে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ঝিলটির গভীরতা প্রায় তিন ফুট। এ বার উপগ্রহের তথ্যের সঙ্গে সমন্বয় করে ওই কেন্দ্রের নকশা তৈরি করা হবে। দ্রুত কাজ শুরু করব।’’ তিনি জানাচ্ছেন, প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুটের উপরে তৈরি হচ্ছে শহরের উল্লেখযোগ্য ভাসমান কেন্দ্রটি। ওখান থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সিইএসসি-র গ্রিডে চলে যাবে।

Advertisement

পুর আধিকারিকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর আগেও বিক্রমগড় ঝিল সংস্কারে একাধিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সংস্কারের কাজ শুরুও হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথেই তা থমকে যায়। তা নিয়ে শোরগোলও পড়ে যায়।

এক পদস্থ পুর আধিকারিকের কথায়, ক্রমাগত নোংরা ফেলার ফলে ঝিলের আয়তন ও গভীরতা ক্রমেই কমে গিয়েছে। গত দশ বছরের উপগ্রহ চিত্রেও ধরা পড়ছে সেই তথ্য। ঝিলটিতে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে চারদিক ঘিরে দেওয়া হবে। যাতে ঝিলে কেউ আবর্জনা ফেলতে না পারেন। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (রাস্তা) রতন দে-ও ঝিলে ময়লা ফেলার অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ঝিলে যে ময়লা ফেলা যাবে না, সেই সচেতনতাই বেশির ভাগের নেই। ময়লা ফেললে তা-ও তুলে ফেলা হচ্ছে।’’ মেয়র পারিষদ (উদ্যান) দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘বিক্রমগড় ঝিলে ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কথা ভাবা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন