রোগীদের সহায়তায় একগুচ্ছ প্রকল্প চালু

ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কলকাতার হাসপাতালে চাপ কমাতে জেলা হাসপাতালগুলি পরিকাঠামো উন্নত করা হবে। তারই অংশ হিসেবে এ দিন রাজ্য সরকারের টাকায় শুরু হল প্রকল্পগুলি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০৭:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহর, জটিল রোগ হলেই জেলা হাসপাতালে ঠিক মতো চিকিৎসা পেতেন না রোগীরা। ছুটতে হতো কলকাতার হাসপাতালে। সেই সমস্যা এড়াতে সোমবার বায়োপসির সুবিধা চালু হল উত্তর ২৪ পরগনার জেলা হাসপাতাল বারাসতে। পাশাপাশি, দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের মতো কিছু প্রকল্পের শিলান্যাসও হয় এ দিন। কয়েক দিনের মধ্যেই রোগীরা এই ব্যবস্থার সুফল পাবেন বলে জানিয়েছেন সুপার সুব্রত মণ্ডল।

Advertisement

ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, কলকাতার হাসপাতালে চাপ কমাতে জেলা হাসপাতালগুলি পরিকাঠামো উন্নত করা হবে। তারই অংশ হিসেবে এ দিন রাজ্য সরকারের টাকায় শুরু হল প্রকল্পগুলি।

এ দিকে, জেলা হাসপাতালেও ক্রমশ বাড়ছে রোগীর চাপ। ৬০০ শয্যার বারাসত হাসপাতালে এখন ভর্তি আছেন ৮০০ রোগী। এত রোগীর পরিজন যাতে বিপদে না পড়েন, সে জন্য এ দিন ২৪ ঘণ্টার পুলিশি সহায়তার কিয়স্ক চালু হয়। প্রসূতিদের সুবিধার জন্য ‘আশা’ কর্মীদের দিয়ে ২৪ ঘণ্টার ‘দিশা হেল্প ডেস্ক’ চালু হয় এ দিন। ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানে গরিব মানুষ যাতে মাত্র ৩৮ টাকায় চশমা পেতে পারেন, চালু হয় সেই পরিষেবাও।

Advertisement

ওই হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা।
তার সমাধানে এ দিন নতুন পাম্প হাউসের শিলান্যাস হয়। প্রকল্পগুলি চালু করে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে বারাসত হাসপাতালের পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এ দিন যে কাজগুলির সূচনা হল, তাতে বহু রোগী উপকৃত হবেন। ভবিষ্যতে আরও প্রকল্প চালু করা হবে।’’ সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রক্তের উপাদান পৃথকীকরণ প্রকল্পটি। এর ফলে রক্তের উপাদান আলাদা করে চার জনকে দেওয়া সম্ভব হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন