মাছ বেচতে বাইক-বাহিনী

কম দামে বাড়ি বাড়ি টাটকা মাছ পৌঁছে দিতে এগিয়ে এল রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। বাংলা নববর্ষ থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ফ্র্যাঞ্চাইজি-ও দিতে চলেছে তারা। ঠিক হয়েছে, যাঁদের মোটরবাইক আছে, তাঁরা নিগমের জলাশয় (নলবন, গোলতলা, রাজারহাট) থেকে টাটকা মাছ কিনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন।

Advertisement

মেহবুব কাদের চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫৮
Share:

কম দামে বাড়ি বাড়ি টাটকা মাছ পৌঁছে দিতে এগিয়ে এল রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। বাংলা নববর্ষ থেকে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ফ্র্যাঞ্চাইজি-ও দিতে চলেছে তারা। ঠিক হয়েছে, যাঁদের মোটরবাইক আছে, তাঁরা নিগমের জলাশয় (নলবন, গোলতলা, রাজারহাট) থেকে টাটকা মাছ কিনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন। আপাতত দমদম, সল্টলেক, নিউ টাউন ও রাজারহাটের মধ্যেই এই পরিষেবা সীমিত থাকছে। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বারবার বলেছেন, ঘরে ঘরে সস্তায় টাটকা মাছ পৌঁছে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যেই আমরা এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে চলেছি।’’

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে সল্টলেক, নিউ টাউন ও দমদমে ৪০টি মোটরবাইক নামাবে রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম। নিগমের শর্ত অনুযায়ী, মাছ বিক্রেতার নিজস্ব মোটরবাইক থাকতে হবে। বাইকের পিছনে একটি ‘রেফ্রিজারেটর বক্স’ থাকবে। নিগমের চেয়ারম্যান সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘‘নিগমের জলাশয় থেকে সস্তায় মাছ কিনে তা বিক্রি করে ১৫ শতাংশ লাভ করতে পারবেন বিক্রেতা।’’ মোটরবাইকে যাঁরা মাছ বিক্রি করবেন, তাঁদের মাছের দাম বেঁধে দেবে নিগম। রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবোস ছাড়াও থাকবে বাটা, পাঙাস, তেলাপিয়া, ট্যাংরা, পাবদা, কই, চিংড়ি। সকাল-বিকেল দুই শিফটে মোটরবাইকে করে মাছ বিক্রি করা যাবে। সকালের দিকে নিগমের জলাশয় থেকে জ্যান্ত মাছ ছাড়াও বিকেলে ফিশ ফ্রাই, ফিশ ফিঙ্গার, ফিশ রোল, ফিশ কাবাব, ফিশ বিরিয়ানি ছাড়াও থাকবে রকমারি মাছের ভাজা পদ।

রাজ্য মৎস্য উন্নয়ন নিগম সূত্রের খবর, মোটরবাইকে করে মাছ বা মাছের পদ বিক্রির জন্য নিগমের কাছে বিক্রেতাকে ‘সিকিউরিটি মানি’ বাবদ তিরিশ হাজার টাকা রাখতে হবে। মৎস্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘নিউ টাউন, সল্টলেক, রাজারহাট এলাকায় অনেকেই অনলাইনে বা শপিং মলে মাছ কেনেন। ওই মাছ অনেক দিন ধরে প্যাকেটে থাকায় তার স্বাদও ভাল থাকে না। নিগম এ ক্ষেত্রে টাটকা মাছ বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে চায়।’’ নিগমের এম ডি সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘‘চল্লিশ জন বিক্রেতা চল্লিশটি এলাকায় মাছ বিক্রির দায়িত্বে থাকবেন। তাঁদের ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়ার প্রাথমিক শর্তটাই হল, এলাকার প্রতিটি বাড়ির ফোন নম্বর নিজেদের কাছে রাখতে হবে। ওই বিক্রেতার ফোন নম্বরও প্রতিটি বাড়িতে থাকবে।’’ এই উদ্যোগ সফল হলে বাঙালির ঘরে ঘরে সস্তায় টাটকা মাছ পৌঁছনোর পাশাপাশি কিছু বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে বলে দাবি নিগমের এম ডি-র।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন