সতর্ক থাকুন বাজি পোড়ানোর সময়ে 

সকালের রোদ্দুর দেখেই কেউ বারান্দায় তুবড়ি সারি দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। আবার কেউ বিকেলে বাজি বাজার ঘুরে রংমশাল কিনে প্রস্তুতি শেষ করেছেন। রাত পোহালেই দীপাবলি। আলোর উৎসবে মেতে উঠবেন আট থেকে আশি সকলেই। কিন্তু সামান্য অসতর্কতা বদলে দিতে পারে উৎসবের রং।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ০১:২৮
Share:

বাজি পোড়ানোয় রাশ টানতে অনুরোধ করা হয়েছে।

সকালের রোদ্দুর দেখেই কেউ বারান্দায় তুবড়ি সারি দিয়ে সাজিয়ে রেখেছে। আবার কেউ বিকেলে বাজি বাজার ঘুরে রংমশাল কিনে প্রস্তুতি শেষ করেছেন। রাত পোহালেই দীপাবলি। আলোর উৎসবে মেতে উঠবেন আট থেকে আশি সকলেই। কিন্তু সামান্য অসতর্কতা বদলে দিতে পারে উৎসবের রং।

Advertisement

প্রতি বছর কালীপুজোর পরে হাসপাতালে ভিড় বাড়ে রোগীদের। পুড়ে যাওয়া ছাড়াও শ্বাসকষ্ট, চোখের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন অনেকেই। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সতর্কতা বজায় রাখলে এই বিপদ এড়ানো যেতে পারে।

এসএসকেএমের বার্ন ইউনিটের প্রাক্তন প্রধান বিজয় মজুমদার জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিশুরাই বেশি দুর্ঘটনার শিকার হয়। তাই বাজি পোড়ানোর সময়ে কখনওই তাদের একা ছাড়া উচিত নয়। তাঁর পরামর্শ, ‘‘নিরাপদ দূরত্বে থেকে বাজি পোড়ানোর পাশাপাশি বাড়িতে অ্যান্টিবায়োটিক মলম রাখা দরকার। হাত কিংবা পায়ে সামান্য ছেঁকা খেলে আগে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে নিতে হবে। তার পরে সেখানে অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে দেওয়া দরকার। এতে প্রাথমিক পর্বে আরাম হওয়ার পাশাপাশি সংক্রমণের ঝুঁকিও কিছুটা কমে।’’ প্লাস্টিক সার্জন অরিন্দম সরকারের পরামর্শ, বাজি পোড়ানোর সময়ে সুতির পোশাক পরাই উচিত। তবে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কতটা অংশ পুড়েছে তার পাশাপাশি পোড়ার গভীরতাও রোগীর ঝুঁকি নির্ধারণ করে। পোড়ার গভীরতা অনেক সময়ে বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব হয় না। তাই যে সব হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ রোগীর চিকিৎসার পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে দ্রুত নিয়ে যাওয়া দরকার।

Advertisement

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, আগুনের পাশাপাশি বিপদ বাড়ায় বাজির আলো এবং ধোঁয়া। বিশেষত শিশুদের জন্য ধোঁয়া মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। শিশুরোগ চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ বলেন, ‘‘বাজির শব্দ সদ্যোজাতদের জন্য বিপজ্জনক। কানের পর্দায় সমস্যার পাশাপাশি হৃদ্‌যন্ত্রেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। বাজি থেকে যে কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস বেরোয়, তা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। বাতাসে ধূলিকণা বেড়ে যাওয়ায় হাঁপানির রোগীদের বিপদ বাড়ে। বাজির ধোঁয়া তা আরও জটিল করে তোলে।’’ তাঁর পরামর্শ, বাজি পোড়ানোর সময়ে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। সদ্যোজাত শিশু থাকলে সেই বাড়িতে বাজি পোড়ানোই উচিত নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন