নয়া বুস্টার পাম্প

জলের অপচয় বন্ধে কড়া বার্তা মমতার

পানীয় জলের অপচয় বন্ধ করে সেই পরিমাণ জল যাতে ফের ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে ভাবতে হবে। শুক্রবার হরিশ পার্কে কলকাতা পুরসভার পরিস্রুত পানীয় জলের নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন উদ্বোধন করতে এসে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৪৫
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার, হরিশ পার্কে। নিজস্ব চিত্র

পানীয় জলের অপচয় বন্ধ করে সেই পরিমাণ জল যাতে ফের ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে ভাবতে হবে। শুক্রবার হরিশ পার্কে কলকাতা পুরসভার পরিস্রুত পানীয় জলের নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন উদ্বোধন করতে এসে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়াও পানীয় জলের জন্য কয়েকটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১২ ঘণ্টা পানীয় জল সরবরাহের ভাবনা।

Advertisement

কলকাতা পুরসভা অনেক দিন আগেই ঘোষণা করেছিল গভীর নলকূপ থেকে পানীয় জল তোলা বন্ধ করে তার পরিবর্তে নদীর জল তুলে পরিস্রুত করে সরবরাহ করা হবে। কিছু জায়গায় এর কাজও শুরু হয়েছে। হরিশ পার্কের কিছুটা অংশে এত দিন নলকূপের মাধ্যমে জল তোলা হতো। এ বার তা বন্ধ করে এই বুস্টার পাম্পিং স্টেশন থেকে নদীর পরিস্রুত জল সরবরাহ করা হবে বলে পুরসভার জল দফতরের এক আধিকারিক জানান। তাঁর কথায়, ভবানীপুর অঞ্চলের একাংশে হরিশ পার্ক সংলগ্ন এলাকায় কিছুটা হলেও জলসঙ্কট ছিল। বাসিন্দাদের একাংশ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সমস্যার কথা জানান। সমস্যা মেটাতে এবং পানীয় জল প্রকল্পের উন্নতিকল্পেই এই নতুন বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়। এক পুর আধিকারিকের কথায়, গার্ডেনরিচ থেকে ‘ডেডিকেটেড’ পাইপ লাইনের মাধ্যমে পাম্পিং স্টেশনে জল নিয়ে আসা হবে।

আরও পড়ুন: ‘ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও আর নয়

Advertisement

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, জলের উন্নতিকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া ছাড়াও শহরের সৌন্দর্যায়ন ও পরিষেবার দিকেও এই সরকার যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। শৌচালয় নির্মাণ তার মধ্যে অন্যতম। মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ থাকাকালীন তাঁর তহবিলের বরাদ্দ অর্থেই হরিশ পার্ক অঞ্চলে একটি ট্র্যাফিক সিগন্যালে গান বাজানোর পদ্ধতি পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করেছিলেন।

তহবিলের অর্থেই কেওড়াতলা শ্মশান, ত্রিফলা আলোর ব্যবস্থা, শৌচালয় এবং বাসস্ট্যান্ড নির্মাণ করা হয় বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে কোনও জনপ্রতিনিধিরই সৌন্দর্য়ায়ন এবং উন্নতিমূলক কর্মসূচি রূপায়ণ করার জন্য ‘ভিশন’ থাকা দরকার।’’

যেমন রাস্তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, শহরের একই জায়গায় একটি রাস্তা একটি সংস্থার, অন্যটি অন্য সংস্থার। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মেরামতিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি পেতে হয়। ফলে কাজে সমস্যা হয়। তবে এই ধরনের রাস্তাগুলি সারাইয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন