Security Forces

জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারির পরে আরও আঁটসাঁট সুরক্ষা

লালবাজার নির্দিষ্ট ভাবে কিছু না জানালেও এই গ্রেফতারির পরে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পুলিশের নজরে রয়েছে শহরের বিভিন্ন হোটেল এবং অতিথিশালা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৩৩
Share:

আগুয়ান: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রেড রোডে কুচকাওয়াজের মহড়া। মঙ্গলবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।

প্রজাতন্ত্র দিবস ও তার প্রাক্কালে যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতি বছরের মতো এ বারেও পুলিশের নজরে হোটেল, অতিথিশালা, শপিং মল এবং শহরে ঢোকার বিভিন্ন জায়গা। আচমকা হানা দিয়ে আবাসিকদের সম্পর্কে চালানো হচ্ছে খোঁজখবর। এই সময়ে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি তিন হাজার পুলিশকর্মীকে মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে লালবাজার।

Advertisement

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাওড়া থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারির ঘটনা আরও চিন্তা বাড়িয়েছে লালবাজারের। কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) জঙ্গি সন্দেহে যে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে, তাদের সঙ্গে আইএসআইএস-এর যোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ধৃত মহম্মদ সাদ্দাম ওরফে সাদ্দাম মল্লিক এবং সৈয়দ আহমেদকে জেরা করে মধ্যপ্রদেশ থেকে আব্দুল রাকিব খুরেশি নামে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে এসটিএফ। তদন্তে জানা গিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই ধৃতেরা জঙ্গি কার্যকলাপের জাল ছড়াতে কয়েক জনকে নিয়োগ করেছিল। এমনকি অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টাও করছিল তারা। এ জন্যই সাদ্দাম এবং সৈয়দ বন্দর এলাকায় গোপন বৈঠকের জন্য এসেছিল বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

তবে কি প্রজাতন্ত্র দিবস বা তার প্রাক্কালে বড় নাশকতার ছক ছিল অভিযুক্তদের? সেই কারণেই কি অস্ত্র সংগ্রহের তোড়জোড় চলছিল? লালবাজার নির্দিষ্ট ভাবে কিছু না জানালেও এই গ্রেফতারির পরে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশি সূত্রের খবর। সপ্তাহখানেক আগে থেকেই পুলিশের নজরে রয়েছে শহরের বিভিন্ন হোটেল এবং অতিথিশালা। কে, কখন, কত দিনের জন্য সেখানে আসছেন, কোথা থেকে আসছেন— সে সব তথ্য সংগ্রহ করা চলছে। আচমকা হানা দিয়ে রেজিস্টার খতিয়ে দেখাও হচ্ছে। চিড়িয়াখানা, শপিং মল-সহ শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও লালবাজার জানিয়েছে।

Advertisement

প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে থেকেই শহরের প্রায় ৫০টি জায়গায় নাকা তল্লাশির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসে রেড রোডে একাধিক ভিভিআইপি আসবেন। সেই কারণে তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে লালবাজার। রেড রোড-সহ আশপাশের এলাকা ১৮টি জ়োনে ভাগ করে ২০ জন ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অধীনে থাকবেন ৪৫ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার আধিকারিক। গোটা এলাকা ১২৫টি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। শহরের নিরাপত্তায় হেভি রেডিয়ো ফ্লাইং স্কোয়াড, ১৩টি কুইক রেসপন্স টিম, ৫৮টি পিসিআর ভ্যান নামানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। চলবে ওয়াচটাওয়ার থেকে নজরদারি। জলপথেও নজরদারি চলবে।

এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘প্রতি বছরই এই সময়ে বাড়তি নজরদারি থাকে। পরিস্থিতি অনুযায়ী বিভিন্ন পরিকল্পনাও নেওয়া হয়। তেমন পরিকল্পনা মেনেই নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন