মাধ্যমিকের ফল জানার পর থেকেই মুষড়ে পড়েছিল মেয়েটি। পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার খবর বাড়িতে জানাতে চায়নি সে। তাই পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে বুধবার দুপুরের আগেই উল্টোডাঙার বাড়ি থেকে হেঁটে হাওড়া ব্রিজ চত্বরে চলে এসেছিল সে। এর পরে সেতুর রেলিংয়ে এক পা তুলে গঙ্গায় ঝাঁপ দিতে গেলে এক টহলদার পুলিশকর্মী তাকে পিছন থেকে টেনে নামান। বেঁচে যায় সতেরো বছরের ওই ছাত্রী।
লালবাজারের কর্তারা জানান, উত্তর বন্দর থানার কনস্টেবল সুখেন্দু মাঝি এ দিন সেতুর কিয়স্কে ডিউটি করছিলেন। দুপুর আড়াইটে নাগাদ ওই ছাত্রীকে আনমনা হয়ে সেতুর উপরে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। অপ্রীতিকর কিছু ঘটতে পারে, এমন আঁচ পেয়ে তার পিছু নেন সুখেন্দু। থানা সূত্রের খবর, সেতুর ২০ ও ২১ নম্বর স্তম্ভের মাঝামাঝি রেলিংয়ে পা তুলতেই ছাত্রীকে আটকান তিনি। অন্য কর্মীদের সাহায্যে তাকে নিয়ে থানায় হাজির হন ওই কনস্টেবল।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, মেয়েটি প্রথমে বাড়ির কথা পুলিশের কাছে জানাতে রাজি হচ্ছিল না। পরে জানায়, বেলগাছিয়ার একটি স্কুল থেকে এ বার মাধ্যমিক দিয়েছিল সে। কিন্তু অকৃতকার্য হওয়ায় এই কাজ করতে গিয়েছিল সে। থানার অফিসারেরা মেয়েটিকে বুঝিয়ে ডেকে পাঠান তার মাকে। বিকেলে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ গিয়ে মা ও মেয়েকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।