মাধ্যমিকের পরে আরও পড়াশোনা করতে চেয়েছিল আয়েশা (নাম পরিবর্তিত)। কিন্তু বাবা মা চেয়েছিলেন মেয়ের বিয়ে দেবেন। বেশ কয়েক বার চেঁচামেচি-কান্নাকাটি করেও পরিজনেদের বোঝাতে না পেরে এক দিন বাড়ি থেকে পালিয়েই গেল আয়েশা। বাস ধরে এসে পৌঁছলো কলকাতায়। ওয়াটগঞ্জ পুলিশের উদ্যোগে শেষমেশ তাঁর ঠাঁই হল একটি হোমে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই মেয়েটিকে জেরা করে ঘটনার বিবরণ জানা গিয়েছে। তিন বোনের মধ্যে ছোট সে। স্থানীয় একটি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত। মাসখানেক ধরে বাবা-মা তোড়জো়ড় করছিলেন, উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। অনেক বার কথা বলেও কাজ না হওয়ায় রবিবার কাঁথির বাড়ি থেকে
বেরিয়ে পড়ে আয়েশা। পকেটে ছিল মাত্র ১৫০ টাকা।
পুলিশকে সে জানিয়েছে, টিকিট কেটে বাস ধরে ধর্মতলায় হাজির হয় সে। এর পরে সাতপাঁচ না ভেবেই ফের একটি বাসে ওঠে সে। নামে খিদিরপুরের ফ্যান্সি মার্কেটের সামনে। নেমে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে হতভম্ব হয়ে কান্নাকাটি শুরু করে আয়েশা। স্থানীয়েরা তাকে ওয়াটগঞ্জ থানায় নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, মেয়েটিকে জেরায় জানা গিয়েছে, তার বাড়ি কাঁথির উত্তর সুফিয়াবাদে। তবে ঠিকানা বা ফোন নম্বর বলতে চায়নি সে। ওয়াটগঞ্জ থানার তরফে কাঁথি থানায় যোগাযোগ করে আয়েশার পরিবারকে জানাতে বলা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে তাকে আপাতত পার্ক স্ট্রিটের একটি হোমে রাখা হয়েছে।
মেয়েটির বাড়িতে যোগাযোগ করা হলে তার বাবা জানান, সাংসারিক অশান্তির কারণেই ঘর ছেড়েছে মেয়ে। তবে বিয়ের কথাটি ঠিক নয়।