প্রতীকী ছবি।
ছোট্ট ঘর। খাট থেকে কয়েক হাত দূরে টেবিলের উপর রসায়নের বই খোলা। তার ওপরে ভাঁজ করে রাখা চশমা। ইতিউতি ছড়িয়ে কয়েকটা চকোলেটের প্যাকেট। গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ফ্যান থেকে ঝুলছে বছর সতেরোর এক কিশোর। সোমবার রাত দশটা নাগাদ এই অবস্থাতেই মিলল সাউথ পয়েন্ট স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সৃজন চৌধুরীর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আত্মহত্যা করেছে সে।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন, পড়াশোনায় তুখোড় ছাত্র সৃজন হঠাৎ কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিল, তা নিয়ে তাঁরা অন্ধকারে। কিন্তু পুলিশ জানিয়েছে, গত সাত বছর ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল সৃজন। চিকিৎসাও চলছিল তার। এ কথা অবশ্য সম্পূর্ণ এড়িয়ে গিয়েছেন সৃজনের পরিবারের প্রতিটি সদস্য। সৃজনের মা শুক্লা চৌধুরী মেট্রো রেলের কর্মী। বাবা সুব্রত চৌধুরী সিইএসসি-র ইঞ্জিনিয়ার।
এ দিন সৃজনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, আত্মীয়-স্বজনের ভিড়ে উপচে পড়ছে ঘর। সৃজনের দিদিমা শোভা মুখোপাধ্যায়ের দাবি, এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে। মা শুক্লা চৌধুরীও সে কথাই সমর্থন করছেন। তাঁদের বক্তব্য, গত বুধবার বাড়ি থেকে লুকিয়ে একটি ইংরেজি ভূতের সিনেমা দেখতে গিয়েছিল সৃজন। ছবিটির নাম ‘অ্যানাবেল’। তা দেখার পর থেকেই বদলে গিয়েছিল সৃজনের আচরণ।
তা হলে কি কোনও মারণ গেমের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিল সৃজন? বা গত সপ্তাহের ওই সিনেমা থেকেই কোনও রকম ইন্ধন পেয়েছিল?
পুলিশ অবশ্য এ সব মানতে নারাজ। মানসিক অবসাদই এই আত্মহত্যার কারণ বলে জানাচ্ছে তারা।