বাসে ‘নিগ্রহ’, ফেসবুকে সরব ছাত্রী

ওই তরুণীর বক্তব্য, তিনি রোজ দাশনগর-পার্ক সার্কাস রুটের একটি বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। এ দিনও পৌনে এগারোটা নাগাদ হাওড়ার ইছাপুরের স্ট্যান্ড থেকে সেই রুটের একটি বাসে উঠেছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০১৯ ০২:৪৪
Share:

বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পথে বাসে যৌন নিগ্রহের শিকার হলেন এক ছাত্রী। সোমবার বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার দাশনগরে। গোটা ঘটনাটি নিজের ফেসবুকের দেওয়ালে লিখেছেন ওই ছাত্রী। তবে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ওই তরুণী কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী। তাঁর বক্তব্য, সামনে পরীক্ষা রয়েছে। তিনি অভিযোগ করলে তদন্তের জন্য পুলিশ বারবার ডেকে পাঠাবে। পরীক্ষার কারণে তিনি সেই সময়টা দিতে পারবেন না।

Advertisement

কী হয়েছিল এ দিন?

ওই তরুণীর বক্তব্য, তিনি রোজ দাশনগর-পার্ক সার্কাস রুটের একটি বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। এ দিনও পৌনে এগারোটা নাগাদ হাওড়ার ইছাপুরের স্ট্যান্ড থেকে সেই রুটের একটি বাসে উঠেছিলেন তিনি। সে সময়ে বাসের চালকের কেবিনের পাশে চার জন কর্মী ছিলেন। বাসে আরও জনা দশেক যাত্রীও ছিলেন। তরুণীর অভিযোগ, তিনি বাসে ওঠার পর থেকেই তাঁর পায়ের দিকে তাকাচ্ছিলেন ওই চার জন। কিন্তু তিনি বিষয়টিতে বিশেষ পাত্তা দেননি। কিছু ক্ষণ পরে ওই চার জন যাত্রীদের জানিয়ে দেন, বাসটি যাবে না। তাই যাত্রীরা যেন পরের বাসে ওঠেন। তরুণীর অভিযোগ, তিনি বাসের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময়ে কন্ডাক্টর তাঁর পায়ে হাত দিতে যান। তা দেখে আর এক জন ‘নোংরা ভাবে’ হাসতে থাকেন। ওই অবস্থাতেই তরুণী বাস থেকে নেমে যান। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, দিনেদুপুরে এমন ‘সাহসী’ ঘটনা বারবার ঘটে। তা জানাতেই তিনি ফেসবুকে লিখেছেন।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, ওই তরুণী ফেসবুকে গোটা ঘটনাটি লিখলেও এই ধরনের নিগ্রহের ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক অভিযোগ দায়ের করতে হয়। তা না হলে মামলা রুজু করা যায় না। যৌন নিগ্রহের মতো ঘটনায় আইন অনুযায়ী নিগৃহীতার বয়ান প্রয়োজন। তা না হলে মামলাটি আদালতগ্রাহ্য হবে না। ফেসবুকের লেখাটি সে ক্ষেত্রে আইনে গ্রাহ্য করা হবে না। রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও মামলা রুজু হয়নি বলেই পুলিশ সূত্রের দাবি।

প্রসঙ্গত, গত বছর কলকাতায় বাসের মধ্যে এক প্রৌঢ়ের স্বমেহনের ঘটনা ঘিরে শহরে তোলপাড় হয়েছিল। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রথমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা দেখেই পুলিশ তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শহর ঢুঁড়ে পাকড়াও করা হয়েছিল অভিযুক্তকে। লালবাজারের একটি সূত্রের বক্তব্য, ওই ঘটনাটি প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছিল। তার উপরে এক অভিযোগকারিণী নিয়মমাফিক অভিযোগও জমা দিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন