বহিরাগত দুই যুবকের বিরুদ্ধে যাদবপুরের ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। শেষে উপাচার্যের হস্তক্ষেপে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আক্রান্তরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনদার ক্যান্টিনে প্রতি দিন সকালেই জমাটি আড্ডা হয়। বৃহস্পতিবারও তেমনটাই চলছিল। সেখানে বিভিন্ন বিভাগের গবেষক, অধ্যাপক, ছাত্রছাত্রীরা থাকেন। রাজনৈতিক, সামাজিক নানা রকম বিষয়ে গল্পগুজবও হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা নাগাদ হঠাত্ই সেখানে দু’জন বহিরাগত ছেলে হাজির হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে। একাধিক বার ডে স্কলার এবং হস্টেলের আবাসিকদের সঙ্গে তাঁদের আগেও বচসা হয়েছে বলে জানান ছাত্রদের একাংশ। বৃহস্পতিবার ওই ক্যান্টিনে কয়েক জন অধ্যাপক ও প্রেসের কর্মী ছিলেন। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তখন আলোচনা চলছিল। আচমকাই এক ছাত্রের দিকে তেড়ে যায় ওই দু’জন। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। বাকিরা রুখে দাঁড়ালে তাদের উপরেও ওই দু’জন চড়াও হয় বলে অভিযোগ। ছাড় পাননি বয়স্করাও।
দেখুন ভিডিও
দেখুন ভিডিও
আক্রান্তরা সঙ্গে সঙ্গে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানান। এই ঘটনার পরের দিন, শুক্রবারও ওই দুই বহিরাগতকে ক্যাম্পাসে দেখা যায়। ফের শুরু হয় কথা কাটাকাটি। এর পর ছাত্ররা ওই দু’জনকে অরবিন্দ ভবনে নিয়ে আসেন। সেখানে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস স্পষ্ট ভাবে ওই দু’জনকে বলেন, যাদবপুরে এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্তরা তর্ক শুরু করলে উপাচার্য তাঁদের বলেন, ‘‘শাট আপ’’। এর পর ছাত্রদের দাবিতে উপাচার্য বহিরাগত ওই দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।