যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
অভিযোগটা বছরখানেক আগেকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা জানিয়ে দিয়েছেন, যে-শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা তাঁর ক্লাসে যাবেন না। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ছাত্রছাত্রীরা কেন অভিযুক্ত শিক্ষকের ক্লাস বয়কট করছেন, সেই বিষয়ে তদন্ত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠক বসেছিল বুধবার। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই বিষয়ে তদন্ত করানো হবে। কে বা কারা তদন্ত করবেন, সেই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবরাজ দেবনাথ জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন এক ছাত্রী। তার পরে এক বছর ওই শিক্ষককে ক্লাস করতে দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরেছেন। তাঁকে ক্লাস দেওয়া চলবে না বলে উপাচার্যের কাছে দাবি জানান দেবরাজেরা। পড়ুয়ারা কেন ওই শিক্ষকের ক্লাসে যেতে চাইছে না, কর্তৃপক্ষ এ দিন সেই বিষয়েই তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
অন্য দিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ভূতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক বাবর আলি শাহ এ দিন কর্মসমিতির বৈঠক চলাকালীন বাইরে অবস্থান শুরু করেন। বাবরের অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে বিভাগীয় প্রধান থেকে সহকর্মী, শিক্ষাকর্মী ও পড়ুয়াদের একাংশ অসহিষ্ণু এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন।
ভূতত্ত্বের বিভাগীয় প্রধান সুব্রত কর্মকার বলেন, ‘‘উপাচার্য বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন। যা জানানোর তাঁকে জানিয়েছি।’’ ২০০৮ সালে বাবর যাদবপুর-কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাঁকে চাকরি না-দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। দ্বারস্থ হন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজ্য ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনেরও। বাবরের বক্তব্য ছিল, তাঁকে বঞ্চিত করে তুলনায় কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে শিক্ষক-পদে মনোনীত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে জাতীয় সংখ্যলঘু কমিশন নির্দেশ দেয়, বাবরকে নিয়োগ করতে হবে। তিনি চাকরি পান ২০১৩ সালে। কিন্তু চাকরি পেলেও তাঁর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ কমেনি বলে অভিযোগ বাবরের। এ দিন উপাচার্য বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টি দেখছি।’’