এসএসকেএম থেেক ছুটি পেলেন মনোজ ভগত। ছবি: রণজিৎ নন্দী
পাতালে নরকদর্শনের পরে নীল আকাশের নীচে ফিরে আসতে পেরেছেন তাঁরা। কিন্তু সুড়ঙ্গের সেই অন্ধকার আর ধোঁয়ায় ভরে থাকা দমবন্ধ পরিবেশের আতঙ্ক থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেননি তাঁদের অনেকেই। ঘুমোনোর জন্য ওষুধ নিয়েছেন কেউ কেউ। খেতে পারছেন না কয়েক জন। আবার অনেকে মাঝেমধ্যেই হাঁপিয়ে উঠছেন। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বলেও জানান ভুক্তভোগীদের কয়েক জন। তাই তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এসি মেট্রোর অগ্নিকাণ্ডে ৪২ জন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। উদ্ধার করে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও এসএসকেএম হাসপাতালে। রাতে অধিকাংশ যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও কয়েক জনকে ভর্তি করানো হয় দুই হাসপাতালেই।
শুক্রবার এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে আরও চার জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকিদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ঊনত্রিশ বছরের মনোজ ভগতের অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ ক্ষণ ধোঁয়ায় আটকে থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। এ দিনও সেই আতঙ্ক কাটেনি। স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে, শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল ওই যুবকের। তাই তাঁকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়। পরে ছুটি দেওয়া হয়। অন্য আহতেরা আছেন জরুরি বিভাগের অবজার্ভেশন ওয়ার্ডে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, মেট্রো-কাণ্ডে আহত-অসুস্থ চার জন মহিলা এক জন পুরুষ যাত্রী সেখানে ভর্তি আছেন। প্রথমে তাঁদের জরুরি বিভাগে রেখে চিকিৎসা চালানো হয়। পরে পাঠানো হয় মেডিসিন বিভাগে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, দুর্ঘটনার আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি ওই যাত্রীরা। আতঙ্ক থেকেই নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। খেতেও পারছেন না তাঁরা। তাই তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আতঙ্ক কাটিয়ে উঠতে না-পারলেও তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। ওই পাঁচ জনকে আরও অন্তত এক দিন পর্যবেক্ষণে রেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।