Santragachi Lake

নজরে বার্ড ফ্লু, চিড়িয়াখানা এবং সাঁতরাগাছি ঝিলে সতর্কতা

আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে। চিড়িয়াখানার ঝিল ও হাওড়ার সাঁতরাগাছি ঝিলে শীতকালে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:১৬
Share:

অতিথি: সাঁতরাগাছি ঝিলে পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা। মঙ্গলবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট দিনে দিনে বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত দেশের দশটি রাজ্যে বার্ড ফ্লু বা অ্যাভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এ রাজ্যে এখনও এই রোগের সংক্রমণ দেখা না গেলেও আগাম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রতিটি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বার্ড ফ্লু ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিতে বিশেষ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বেশি করে সতর্ক রয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে সাঁতরাগাছি ঝিলেও।

Advertisement

আলিপুর চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন ধরনের পাখি রয়েছে। চিড়িয়াখানার ঝিল ও হাওড়ার সাঁতরাগাছি ঝিলে শীতকালে প্রচুর পরিযায়ী পাখি আসে। বার্ড ফ্লু-র সচেতনতায় আলিপুর চিড়িয়াখানার তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত বলেন, ‘‘বিভিন্ন পাখির খাঁচায় নিয়মিত অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে। জীবাণু-রোধে পাখির খাঁচার ভিতরে ও বাইরে চুন ছড়ানো হচ্ছে। খাঁচার মধ্যে খাবারের জলে অ্যান্টি ভাইরাল মেডিসিন দেওয়া হচ্ছে।’’

এ ছাড়াও পাখির খাঁচার বাইরে রাখা পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের দ্রবণে পা ডুবিয়ে তবেই খাঁচায় প্রবেশ করছেন কিপার। বিভিন্ন পাখির মল নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে। চিড়িয়াখানার অধিকর্তার কথায়, ‘‘মল পরীক্ষা করলেই বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ রয়েছে কি না, তা জানা যায়।’’

Advertisement

চিড়িয়াখানার ভিতরে বড় ঝিল রয়েছে। সেখানে শীতকালে বিভিন্ন ধরনের পাখির আনাগোনা বাড়ে। ওই ঝিলের জলকে জীবাণুমুক্ত করতে চুন ও পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দেওয়া হচ্ছে। চিড়িয়াখানার অধিকর্তার কথায়, ‘‘ঝিলে একটি ছোট দ্বীপ রয়েছে। ওই দ্বীপে পাখিরা বসে মলত্যাগ করে। ওই জায়গায় মল নিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা করা হচ্ছে।’’ পুরো চিড়িয়াখানায় পাখিদের নজরদারির জন্য চার জন প্রাণী চিকিৎসক সর্বদা নজর রাখছেন। চিড়িয়াখানার মতো সাঁতরাগাছি ঝিলেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে জেলা বন আধিকারিক রাজু সরকার জানিয়েছেন। রাজুবাবু বলন, ‘‘প্রত্যেক পাখির উপরে নজরদারি রাখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও পাখির মৃত্যু হয়নি।’’ সাঁতরাগাছি ঝিলের সমস্ত কর্মীর কাছে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও পাখি মারা গেলে তৎক্ষণাৎ তা জেলা কর্তাদের জানাতে হবে। বার্ড ফ্লু ঠেকাতে সাঁতরাগাছি ঝিলের চারপাশেও অ্যান্টি ভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে নিয়মিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement