মন্ত্রীর দরজায় ধর্নায় শিক্ষকেরা

‘অলবেঙ্গল কম্পিউটার টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্য সম্পাদক রাজেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০০১-’০২ সাল থেকে রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে তাঁরা চাকরি শুরু করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০২:২২
Share:

দাবি: শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় শিক্ষকেরা। নিজস্ব চিত্র

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন বিভিন্ন স্কুলের কম্পিউটার শিক্ষকেরা। ওই শিক্ষকদের নানা দাবি মন্ত্রীকে জানাতে রবিবার দুপুর ১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত নাকতলায় ওই ধর্না চলে। সেই সময়ের মধ্যে অন্য একদল কম্পিউটার শিক্ষক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন।

Advertisement

‘অলবেঙ্গল কম্পিউটার টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর রাজ্য সম্পাদক রাজেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২০০১-’০২ সাল থেকে রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত ও সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে তাঁরা চাকরি শুরু করেন। স্কুলশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যে বেসরকারি সংস্থার চুক্তির ভিত্তিতে তাঁদের চাকরি হয়েছিল, ২০১২ সালে সেই মেয়াদ শেষ হয়। তার পর থেকেই চাকরি নিয়ে টালবাহানা শুরু হয়েছে। কিন্তু ওই বছরই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, স্কুলশিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে শিক্ষকদের বরখাস্ত করা যাবে না। রাজেশবাবুর অভিযোগ, তার পরেও বহু শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। অনেকের চাকরি থাকলেও তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না।
অভিযোগ, এই বিষয়টি নিয়ে বহু বার শিক্ষামন্ত্রীকে লিখিত ভাবে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তাতেও সাড়া মেলেনি। ফলে এ দিন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যান এক দল শিক্ষক। ভিতরে ঢুকতে না পেরে বাড়ির বাইরে ধর্নায় বসে পড়েন তাঁরা। পরে শিক্ষামন্ত্রী তাঁদের সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিলে ধর্না উঠে যায়।

‘ওয়েস্টবেঙ্গল স্কুল কম্পিউটার টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর সহ-সম্পাদক ভূপেশ কেশ বলেন, ‘‘রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।’’ এই শিক্ষকদের চাকরি হয় ২০১৩ সালে।
বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুলশিক্ষা দফতরের চুক্তি শেষ হলে তাঁরা চাকরি হারান। পরে রাজ্য সরকার ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করে। চাকরিতে স্থায়ীকরণের জন্য স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভূপেশ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement