শ্রেয়সী মাইতি। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় চাকরির পরীক্ষা দিতে এসে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল প্রেমিকের। তার ন’দিনের মাথায় সেই শোক সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন প্রেমিকা!
গত ৩০ সেপ্টেম্বর দমদম স্টেশনে ঢোকার সময় ট্রেন থেকে পড়ে মারা গিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা নিত্যানন্দ দাস। ওই দিন তাঁর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চাকরির পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আগের দিন তিনি এগরা থেকে এসে বেলঘরিয়াতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। বেলঘরিয়া থেকেই উঠেছিলেন শিয়ালদহমুখী ডাউন কৃষ্ণনগর লোকালে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন নিত্যানন্দ। সেই সময়েই অসতর্ক হয়ে তিনি ট্রেন থেকে পড়ে যান।
আরও পড়ুন: ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে ফোনে ব্যস্ত, পড়ে মৃত্যু পিএসসি পরীক্ষার্থীর
খবরটা পরের দিনই জেনেছিলেন এগরার দোবাঁধি-মির্জাপুরের বাসিন্দা দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শ্রেয়সী মাইতি। সোমবার সকালে বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। শ্রেয়সীর কাকা দেবব্রত মাইতি বলেন,“ সকালে বাড়িতে কেউ ছিল না। মেয়েকে দেখতে না পেয়ে ওর মা চিলেকোঠায় পড়ার ঘরে যায়। সেখানেই দেখে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছে শ্রেয়সী।”
আরও পড়ুন: মেডিক্যালে পাখা ভেঙে আহত এক
সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের বাকিরা শ্রেয়সীকে নামিয়ে এগরার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেবব্রতবাবু বলেন,“নিত্যানন্দের কাছে টিউশন নিতে যেত শ্রেয়সী। সেখান থেকেই সম্ভবত একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরিবারের লোকজন এই সম্পর্কের বিষয়ে কিছুই জানত না।” তবে তিনি জানান, নিত্যানন্দ মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর থেকে শ্রেয়সী অসংলগ্ন আচরণ করতে থাকে। তখনই সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। দেবব্রতর কথায়, ‘‘পরিবারের কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে, এরকম একটা কিছু করে বসবে শ্রেয়সী।”