যৌন নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে

ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (জোন ২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘যৌন নিগ্রহ ও পকসো আইনে মামলা হয়েছে। খোঁজ চলছে।’’ কিন্তু ওই যুবকের পরিচিতেরা সব সময় তাদের হুমকি দিচ্ছে ও ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ বছর পনেরোর কিশোরীর। বিচারের আশায় গত সোমবার রাতে মায়ের সঙ্গে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যায় আড়িয়াদহের বাসিন্দা ওই কিশোরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৮ ০২:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

এক তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ পৌঁছল মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে। অভিযুক্ত পেশায় প্রোমোটার। পুলিশের দাবি, অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই রাজু ঘোষ নামে ওই যুবক পলাতক। যদিও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, চক্রান্ত করে রাজুকে ফাঁসানো হচ্ছে।

Advertisement

ব্যারাকপুরের ডেপুটি কমিশনার (জোন ২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘যৌন নিগ্রহ ও পকসো আইনে মামলা হয়েছে। খোঁজ চলছে।’’ কিন্তু ওই যুবকের পরিচিতেরা সব সময় তাদের হুমকি দিচ্ছে ও ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ বছর পনেরোর কিশোরীর। বিচারের আশায় গত সোমবার রাতে মায়ের সঙ্গে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যায় আড়িয়াদহের বাসিন্দা ওই কিশোরী।

বুধবার ফের আরও এক বার ব্যারাকপুর আদালতে গিয়ে গোপন জবানবন্দি দেয় ওই মাধ্যমিক পড়ুয়া। কিশোরীর অভিযোগ, ২০১৬ সালে সে যেখানে টি‌উশনি পড়তে যেত, সেই পাড়াতেই থাকেন রাজু। এক দিন তিনি কিশোরীকে ফোন করে জানতে চান, ‘তুমি আমাকে চিঠি লিখেছ কেন?’ কিশোরীর কথায়, ‘‘চিঠি দিইনি বললেও উনি বিশ্বাস করেন না।’’ অভিযোগ, কিছু দিন পরে রাজু ফের ফোন করে কিশোরীকে তাঁর ফ্ল্যাটে আসতে বলেন। কিশোরীর অভিযোগ, ‘‘ফ্ল্যাটে যেতেই রাজু কুপ্রস্তাব দেন। রাজি না হওয়ায় জোর করে যৌন নিগ্রহ করেন। বাবা, ভাইকে মারধর করার ভয় দেখিয়ে আর টানাটানির সংসারে মাকে চাকরি করে দেওয়ার নামে এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রতি শনি ও রবিবার ডেকে যৌন নিগ্রহ করতেন।’’ কিশোর জানায়, ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে যোগাযোগ বন্ধ করেন রাজু। কিশোরীর মা বলেন, ‘‘মেয়ে পরে এক দিন আমাকে সব জানালে স্থানীয় নেতাদের জানাই। তাঁরা সহযোগিতা না করায় নিজেরাই থানায় যাই।’’

Advertisement

তবে গোটা ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজুর স্ত্রী তথা বরাহনগরের তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্চিতা দে। তাঁর কথায়, ‘‘কে কেন ষড়যন্ত্র করেছে বলতে পারব না। তবে আইনের উপরে আস্থা রয়েছে। তদন্ত হোক তার পরে বোঝা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন