প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া। মঙ্গলবার, রেড রোডে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
এ বার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে কলকাতা পুলিশের দশ জন কম্যান্ডোর হাতে থাকবে টেলিস্কোপ লাগানো একে ৪৭ রাইফেল। এ ছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৪৫ জন কম্যান্ডো। তাঁদের হাতে থাকবে সাবেক একে ৪৭ রাইফেল। মঙ্গলবার লালবাজার সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
এ ছাড়াও ওই দিন কুচকাওয়াজের সময়ে রেড রোডের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে থাকবেন ১৯ জন ডিসি। পাশাপাশি নজরদারি চালানো হবে উড়ুক্কু যান ড্রোনের মাধ্যমেও। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে চার হাজার পুলিশ। লালবাজারের এক শীর্ষকর্তা জানান, আজ, বুধবার মাঝরাত থেকেই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার জন্য রাস্তায় নামবে পুলিশ। শহরের মেট্রো স্টেশন, শপিং মল এবং বাজারেও থাকবে বাড়তি পুলিশি নজরদারি।
রেড রোডের অনুষ্ঠান-মঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় থাকছে দশটি স্যান্ড বাঙ্কার, ছ’টি বুলেট নিরোধক খাঁচা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দশটি ওয়াচটাওয়ার থাকছে। দর্শকদের সহায়তা করার জন্য রেড রোড এবং সংলগ্ন এলাকায় থাকছে ১১টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র। তার সঙ্গে থাকবে ১২টি অ্যাম্বুল্যান্স।
লালবাজার সূত্রে খবর, আজ, বুধবার মাঝরাত থেকেই রেড রোডে গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালীন রেড রোড দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে না। অনুষ্ঠানের শেষে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও ২৭ জানুয়ারি একটি সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য আবার ওই রাস্তায় কয়েক ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার সম্ভাবনা আছে। তবে লালবাজারের এক শীর্ষকর্তা জানান, সব ব্যবস্থাই করা হবে পরিস্থিতি বিবেচনা করে।
২৬ জানুয়ারি রেড রোডের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ওই তল্লাট-সহ বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে এগারোটি গাড়ি। পাশাপাশি থাকছে সাতটি ক্যুইক রেসপন্স টিম। স্থলপথের পাশাপাশি জলপথেও চলবে নজরদারি। লালবাজার সূত্রে খবর, জল পুলিশের ৭টি বাহিনীকে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান উপলক্ষে রেড রোডের নিরাপত্তার বিশেষ আয়োজনটাই ছিল এত দিনের রেওয়াজ। সেই বিশেষ ব্যবস্থা আরও জোরদার হতে শুরু করে ২০০৯ থেকে। কারণ, ২০০৮ সালে মুম্বইয়ের জঙ্গি হামলা। এর পরে গত বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়া চলার সময়ে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় নিহত হন এক সেনা জওয়ান। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল শহরেরই দুই যুবকের বিরুদ্ধে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই এ বারের প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।