Land Department

কলকাতায় বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি উদ্ধারে উদ্যোগী প্রশাসন, মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট ২৭ অগস্ট

সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একটি কমিটির গঠন করা হয়েছে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস-সহ অন্যন্য আধিকারিকরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৩ ১৫:০৬
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকেই সেই কাজ শুরু করেছে নবান্ন। প্রশাসন সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ করে আগামী ২৭ অগস্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে। তাই কলকাতায় বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি চিহ্নিতকরণের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

সরকারি জমি উদ্ধারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিকেরা, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়াল এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক রয়েছেন এই কমিটিতে। দায়িত্ব পাওয়ার পরেই এই কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। কাজে নেমে প্রথমেই ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস এলাকার একাধিক জমি নজরে এসেছে প্রশাসনের। শুধু বেদখল হওয়াই নয়, সরকারি জমির জাল দলিল বানিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনারও প্রমাণ মিলেছে। আপাতত দখল হয়ে যাওয়া জমি চিহ্নিতকরণের কাজ দ্রুত শেষ করতে চায় নবান্ন। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে জমি ফেরানোর আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস সংলগ্ন কলকাতা পুরসভার ১০৭, ১০৮ এবং ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডেই বেদখল হওয়া জমির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এর মধ্যে বেশ কিছু জমি রয়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের। কিছু জমি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীন। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)-র অধীনে থাকা জমিও বেদখল হয়ে গিয়েছে। আবার এমনও বেশ কিছু জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি বিগত বামফ্রন্ট জমানাতেই সরকারের থেকে বেহাত হয়ে গিয়েছিল। আপাতত সেই সব জমি চিহ্নিত করে খাস সরকারি জমিতে রূপান্তরিত করাই লক্ষ্য নবান্নের। ২৭ তারিখে মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে মুখ্যমন্ত্রী দফতরে জমা দেওয়ার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে চান প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, এই সমস্ত এলাকায় এমনও বেশ কিছু জমি রয়েছে যেগুলির মালিকানা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলেছে। সেই জমিগুলি নিয়ে সরকার এখনই কোনও সিদ্ধান্ত না নিলেও, তা চিহ্নিতকরণের কাজ এই পর্যায়েই শেষ করে ফেলতে চায় তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন