Chaubaga

গ্রামের দুর্দশা চৌবাগায়, তরজা নেতাদের

বর্ষা শুরু হতেই কাদাজল ঠেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপরে সব সময়ে জল জমে থাকছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২০ ০৪:৩২
Share:

শোচনীয়: এমনই অবস্থা চৌবাগা এলাকার গুলশন কলোনির। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

এ যেন গ্রামকেও হার মানায়।

Advertisement

কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের চৌবাগা এলাকার গুলশন কলোনিতে এখনও মাটির রাস্তা। নিকাশি ব্যবস্থা বলে কিছু নেই। অভিযোগ, অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায় এলাকায়। রাস্তার ধারে জঞ্জালের স্তূপ। ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে প্লাস্টিক।

বর্ষা শুরু হতেই কাদাজল ঠেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। নিকাশি ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তার উপরে সব সময়ে জল জমে থাকছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তার উপরে বৃষ্টি শুরু হতেই যেন সেই দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কলকাতা পুরসভার আওতাভুক্ত হলেও রাস্তার বেহাল দশা। জঞ্জাল অপসারণ কিংবা নিকাশির উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই এলাকায়। জল জমে থাকায় বাড়ছে মশার প্রকোপও।

Advertisement

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার পরিকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় গত বছর অনেকেই ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আফতাব আহমেদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘গত বছর আমাদের এখানে বেশ কয়েক জন ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বার বর্ষা শুরু হতেই ফের আতঙ্কে ভুগছি। তার উপরে রয়েছে করোনার আতঙ্কও।’’

আর এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘আমরা পুরসভাকে কর দিই। অথচ ন্যূনতম পরিষেবা পাচ্ছি না।’’

এলাকার এই অনুন্নয়নের জন্য স্থানীয় বরো চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ অবাধে চলতে থাকা বেআইনি নির্মাণের কথা উল্লেখ করে বিধায়ক জাভেদ খানকে দায়ী করেছেন। জাভেদের পাল্টা অভিযোগ, ‘‘এলাকা উন্নয়নের জন্য পুরসভাকে তিরিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিলাম। অথচ সুশান্তবাবুর জন্যই কোনও টাকা দীর্ঘদিন ধরে খরচ হয়নি। আমার সম্পর্কে উনি মিথ্যা বলছেন।’’ পাল্টা জবাবে সুশান্তবাবু বলেন, ‘‘জাভেদ সাহেব মিথ্যা কথা বলছেন। গত দশ বছর বিধায়ক যে তিরিশ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন তার পুরোটাই কাজে লেগেছে। করোনা আসার আগে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। সেই টাকারও শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।’’

সুশান্তবাবু আরও জানান, আনন্দপুর থানার চৌবাগা এলাকায় সংস্কারের কাজ যাতে শীঘ্রই শুরু করা যায় সে বিষয়ে কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমের দফতরে জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘চৌবাগা এলাকার গুলশন কলোনির সংস্কারের কাজ শীঘ্রই শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন