বেতের বদলে এসেছে শৌখিন পলিকার্বোনেটের লাঠি! পুলিশ কর্মীদের তা বইতে সুবিধা হচ্ছে। সুবিধা হচ্ছে লাঠি চালাতেও। প্রয়োজনে তা জামার পিছনে লুকিয়েও রাখা যাচ্ছে। তবে সে লাঠি যাঁদের গায়ে পড়ছে, তাঁদের যন্ত্রণা বেতের লাঠির তুলনায় বহু গুণ বেশি হচ্ছে। আর তা থাকছেও বহুক্ষণ। পুলিশকর্মীরা বলেন, এ লাঠিতে যে মারে তার পরিশ্রম কম, কিন্তু যে মার খায়, তার যন্ত্রণা বহু গুণ বেশি। ব্যথা শুরু হয় একটু পরে। ক্রমে চাকা-চাকা দাগ দেখা যায়। সোমবারের নবান্ন অভিযানে পুলিশের একটি বড় অংশের হাতে ছিল এই লাঠিই। কাঁদানে গ্যাসের পাশাপাশি ঠিক যে ভাবে ‘ওলিওরেসিন ক্যাপসিকাম’ ছোড়া হয়েছিল বলে অভিযোগ, ঠিক সে ভাবেই বেতের লাঠির পাশাপাশি পুলিশের অস্ত্র ছিল এই হাল্কা ফাইবারের লাঠি। ২০০২-এ শহরে প্রথম এর প্রয়োগ শুরু হয়। তার পর এর ব্যবহার হতে থাকে মাঝেমধ্যে। বিস্তর মারলেও চট করে ভাঙে না। ধরার সুবিধার জন্যে লাঠির মাথায় কালো রঙের খাঁজ কাটা অংশ আছে। পলিকার্বোনেট ঢালও এখন পুলিশের মুশকিল-আসান। আগে লোহার ঢাল ছিল। তা বড্ড ভারী। আর বেতের ঢাল তত অপ্রতিরোধ্য নয়। ইট-পাথরের বৃষ্টি রুখতেও এখন তাই হাল্কা অথচ পোক্ত ফাইবারের ঢালই বেশি ব্যবহার হচ্ছে।
আরও পড়ুন:সুপারি কিলারে খরচ নয়, তাই খুনি অজিত