আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ। —ফাইল চিত্র।
ন’বছর আগে খোদ যাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল র্যাগিংয়ের অভিযোগ, সেই তিনিই এখন হস্টেল সুপার! কী ভাবে এটা সম্ভব? যাদবপুরের র্যাগিং-কাণ্ড নিয়ে যখন সর্বত্র আলোড়ন চলছে, তখন আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে এই প্রশ্ন তুললেন ছাত্র সংগঠন ‘এআইডিএসও’-র সদস্যেরা। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি ওই হস্টেল সুপারের।
দন্ত চিকিৎসক ঝন্টু মণ্ডলের একটি বক্তব্যের ভিডিয়ো (সেটির সত্যতা আনন্দবাজার পত্রিকা যাচাই করেনি) শনিবার প্রকাশ্যে এসেছে। এআইডিএসও-র সদস্য ওই চিকিৎসকের দাবি, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের বর্তমান হস্টেল সুপার শুভজিৎ সাহা ২০১৪ সালে তাঁকে ঘরে ডেকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেন। সেই সময়ে শুভজিৎ সিনিয়র হাউসস্টাফ ছিলেন। অভিযোগ, শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকায় পাশ করার পরেও ওই কলেজের হস্টেলেই থাকতেন শুভজিৎ এবং সেই সময়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের উপরে বিভিন্ন রকমের অত্যাচার করতেন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত ওই ডেন্টাল কলেজের হস্টেলেই থেকেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক।
এআইডিএসও-র অভিযোগ, ২০১৪ সালে আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের বেনিয়াপুকুরের হস্টেলে (পুরনো হস্টেল) ওই ঘটনাটি ঘটেছিল। তাতে শুভজিৎ-সহ আরও কয়েক জনের বিরুদ্ধে বেনিয়াপুকুর থানা, কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ইউজিসি-র কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু তার পরেও কিছু হয়নি। এআইডিএসও-র রাজ্য মেডিক্যাল ইউনিটের আহ্বায়ক সামস্ মুসাফির বলেন, ‘‘ছাত্রজীবনে যিনি র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত হন, তাঁকেই কয়েক মাস আগে হস্টেল সুপারের পদে নিযুক্ত করার বিরোধিতা করে, পড়ুয়াদের স্বার্থে গত মে মাসে অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিই। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।’’ অভিযোগ, শাসকদলের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ওই পদে বসানো হয় শুভজিৎকে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শুভজিৎ বলেন, ‘‘এত বছর পরে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। ২০১৪ সালেও এই অভিযোগে আদালত থেকে ক্লিন চিট পেয়েছিলাম। এখন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কলেজের বদনাম করতেই এ সব বলা হচ্ছে।’’