Munna Iqbal

মুন্না-মৃত্যুতে ধাক্কা পুলিশ খুনের মামলায়

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গার্ডেনরিচ থানা এলাকার হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন তাপস চৌধুরী নামে এক পুলিশকর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৪৭
Share:

মুন্না ইকবাল। —ফাইল চিত্র

মঙ্গলবার রাতে একবালপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান মুন্না ইকবাল হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় গার্ডেনরিচে এক পুলিশকর্মীকে খুনের মামলা গুরুত্বহীন হয়ে পড়ল বলেই মনে করছেন আলিপুর আদালতের আইনজীবীদের একাংশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি গার্ডেনরিচ থানা এলাকার হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন তাপস চৌধুরী নামে এক পুলিশকর্মী। অভিযোগ, মুন্না ইকবালের নির্দেশেই ওই পুলিশকর্মীকে খুন করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পরে পলাতক মুন্নাকে বিহারের ডেহরি-অন-শোন থেকে গ্রেফতার করে সিআইডি। কলকাতা পুলিশের দায়ের করা দু’টি এফআইআরের ভিত্তিতে এই ঘটনায় মুন্না-সহ ন’জনকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। মূল অভিযুক্ত শেখ সুহান ছাড়া বাকিরা জামিনে মুক্ত ছিলেন। গ্রেফতারের ৭৭ দিন পরে জামিনে মুক্ত হন মুন্না।

আলিপুর আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ পর্বও চলছে। শুনানি প্রায় শেষের পথে বলে জানিয়েছেন এক সরকারি আইনজীবী। মুন্নার নির্দেশেই ওই দিন শেখ সুহান তাপস চৌধুরীকে গুলি করেছিল বলে মূল অভিযোগ ছিল। বুধবার তাপসবাবুর স্ত্রী মিনতি বলেন, ‘‘যে কোনও মৃত্যুর ঘটনাই বেদনাদায়ক। কিন্তু মুন্না ইকবালের মৃত্যুর ঘটনায় আমি খুবই দুঃখিত। আমার স্বামীর খুনে ওই লোকটির কোনও সাজা হল না। আমিও শুনেছি, ওঁর নির্দেশেই আমার স্বামীকে গুলি করা হয়েছিল। ওই লোকটির জেলে থাকার কথা ছিল। এখন আর কী হবে।’’ তবে ওই খুনের ঘটনার পরে তাপসবাবুর মেয়ে তনুশ্রীকে রাজ্য সরকারের তরফে কলকাতা পুলিশে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। মিনতি বলেন, ‘‘আমার ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। আমার শরীর খুবই খারাপ। স্বামীর অকালমৃত্যুর পরে আমি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন