হাসপাতালে ভর্তি করতে রোগী নিয়ে ১৪ ঘণ্টা ঘুরল পুলিশ

কিন্তু কোথাও জায়গা হয়নি পঁয়ষট্টি বছরের ওই বৃদ্ধের। শেষে শারীরিক অবস্থায় অবনতি হতে থাকায় পুলিশ বাধ্য হয়ে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২০ ০১:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি

এ বার ১৪ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়েও রোগীকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারল না পুলিশ।

Advertisement

শনিবার রাত দেড়টা নাগাদ রাস্তায় অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকা এক বৃদ্ধকে উদ্ধার করে একবালপুর থানার পুলিশ। তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে রবিবার দুপুর তিনটে পর্যন্ত নাগাড়ে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর চেষ্টা করেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু কোথাও জায়গা হয়নি পঁয়ষট্টি বছরের ওই বৃদ্ধের। শেষে শারীরিক অবস্থায় অবনতি হতে থাকায় পুলিশ বাধ্য হয়ে তাঁকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করে।

কেন এমন হল, সেই ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছে না লালবাজারও। প্রশ্ন উঠেছে, রোগী ভর্তি করার ক্ষেত্রে পুলিশের কথাও যদি গুরুত্ব না পায়, তবে সাধারণ মানুষ এই পরিস্থিতিতে কী করবেন?

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই বৃদ্ধ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁকে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে পুলিশকে জানানো হয়, কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় অন্য রোগীকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এর পরে পুলিশ ওই বৃদ্ধকে নিয়ে যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও তাঁকে ভর্তি করানো যায়নি বলে অভিযোগ। এর পরে নীলরতন সরকার, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ এবং আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ওই বৃদ্ধকে ভর্তি করানো যায়নি বলে জানান পুলিশের এক কর্তা। শেষে এ দিন বিকেলে একবালপুরের একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করে পুলিশ।

গত মে মাসে পর্ণশ্রী থানা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলাও এমনই একটি ঘটনায় মারা যান। উদ্ধার করার পরে অসুস্থ ওই মহিলাকে নিয়েও একাধিক সরকারি হাসপাতালে ছুটেছিল পুলিশ। কিন্তু কোথাওই তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। শেষে একটি সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই মহিলার।

এ দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ওই রোগীর বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই। তবে হাসপাতালটি পুরোটাই কোভিড হাসপাতাল হয়েছে। তাই সেখানে করোনা পজ়িটিভ বা সারি (সিভিয়র অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইলনেস) রোগীরাই ভর্তি। অনেকে সাধারণ জ্বর নিয়েও আসছেন। তাঁদের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করা হচ্ছে।

অন্য দিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারকে ফোন করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ঘটনা নিয়ে এসএমএস করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

আরও পড়ুন: স্কুল-কলেজ খুলছে অগস্টের পর, জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পোখরিয়াল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন